প্রতারণা কতভাবে হচ্ছে তার একটি জ্বলন্ত উদহারণ সৃস্টি করেছে রূপগঞ্জের তিন প্রতারক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণা করে সোনা-রুপার অলঙ্কার হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দুই প্রতারককে আটক করা হলেও অপর প্রতারক পারিয়ে গেছে।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে ওই দুই প্রতারককে ধরে ফেলে রোগীর সন্তান। পরে হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের কাছে দুইজনকে হস্তান্তর করা হয়।
ভুক্তভোগী নারী বেদেনা খাতুন জানান, তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার পাতরাইল গ্রামে। তার স্বামী আয়নাল হক (৫৫) আশুলিয়া ড্রেজার মেশিনে কাজ করেন। গত ২৬ মার্চ কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়। সেদিনই তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, গতকাল দুপুরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সংলগ্ন পানির পাম্পে পানি আনতে যান। সে সময় সঙ্গে ছেলে নাঈম ছিলেন। হঠাৎ তিন যুবক তাকে মা বলে ডাক দিয়ে বলে, আমাদের রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। একটি ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে বলে এরমধ্যে লাখ টাকার মাল আছে আপনি বিক্রি করতে পারবেন। এই কথা বলে কৌশলে দুই ভরি রুপার চেইন, ছয় আনা সোনার দুল ও একটি বাটন মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের বেডে ব্যাগটি খুলে দেখে এক প্যাকেট সুজি রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এরপর থেকে ওই তিন প্রতারককে খুঁজতে থাকি। দুপুরে জরুরি বিভাগে ওই তিন যুবককে আমার ছেলে নাঈম চিনে ফেলে আমাকে খবর দেয়। পরে তাদের দুজনকে ধরে ফেললেও একজন পালিয়ে যান। দুই যুবক প্রতারণা করে জিনিসপত্র নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।’
আটকেরা হলেন মো. সুমন (২২) ও মকবুল হোসেন (৩০) এবং মমিন নামে এক যুবক পালিয়ে গেছেন।
আটক মো. সুমন বলেন, ‘তাদের তিনজনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। প্রতারণা করে জিনিসপাতি হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সেগুলো তারা ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শাহবাগ থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। ওই দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
Discussion about this post