বন্দরে প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনমাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় আসামীরা আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন না । অর্থাৎ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা ছিলেন পলাতক ।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রকিবুদ্দিন আহমেদ রকিব বলেন, ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে ভুক্তভোগী তরুণী তার ছোট বোনের বাসায় যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ ছিলেন। এরপর ২৭ এপ্রিল একটি ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী এলাকার মো. আলম সওদাগর বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, পরে ওই মামলার তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে, ভুক্তভোগী তরুণী হোসিয়ারীতে কাজ করার সময়ে ফারুকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ফারুকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে ঘুরতে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ফারুক তার সহযোগী আমজাদ হোসেন ও মুন্নাকে নিয়ে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধে হত্যা করে ডোবায় খড় দিয়ে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল বন্দর থানার দায়ের করা ধর্ষণ শেষে হত্যা মামলায় বন্দরের হরিবাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল মমিনের ছেলে মো. মুন্না ওরফে টুকুন (৩৫), ত্রিবেনী এলাকার মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. আমজাদ হোসেন (৪৩) ও বিবি জোড়া পূর্বপাড়া এলাকার ওমর খাঁর ছেলে ফারুক (৩৫) বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
Discussion about this post