‘মাকসুদ সাহেব আমি এতগুলো মানুষের সামনে আবার আপনাকে আমি বললাম আল্লাহর কাছে মাপ চান। এবং আপনার দায়িত্বে আপনি ফিরে আসেন। আমি আপনাকে কিছু বলব না। মনে রাখবেন আমরা মুক্তিযোদ্ধা।
এভাবেই শনিবার (৩০ মার্চ) ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে বন্দর উপজেলার জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দের সাথে উন্নয়নমুলক মতবিনিময় সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বন্দরের কুখ্যাত রাজাকারপুত্র মাকসুদ কে নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেন।
সংসদ সদস্য আরো বলেন, একটা ইউনিয়নে আমি চেয়ারম্যান খোঁজা শুরু করে দিছি। এখন দুইজন আমার অমতে নির্বাচন করার চিন্তা ভাবনা করছে। একজন তো রাজাকারের সন্তান। আমি বলি না ওনিই প্রমান করে দিয়েছেন সে রাজাকারের সন্তান। মানুষের জন্য কাজ কর আগের পাপ ভুলে যাও। পাপে বাপেরেও ছাড়ে না।’
যদি ভালই ভালোই কথা শুনবেন তো শুনবেন না হলে মুগুর কিভাবে বানাতে হয় এটা আমি জানি। আপনি আগামীকাল থেকে উইথড্র করেন। ৪ জন চেয়ারম্যান যেভাবে আমার কথা শুনে এখানে এসেছেন আপনিও আসেন। আপনার এত টাকা কোথা থেকে হল মাকসুদ সাহেব। আপনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দেওয়া শুরু করেছেন। আমার কাছে হিসাব আছে প্রায় এ পর্যন্ত ৩ কোটি টাকা খরচ করেছেন। আমি বলে দিলাম আপনি সব কিছু ভুলে আসেন আমার ছেলের পরিচয় দিয়েন তার পর ও আমি লাষ্ট অনুরোধ করবো ফিরে আসেন। আমি মাকসুদ হোসেন তোমাকে বলতে চাই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসো। ওইদিন নাইরে নাতি খাবলাইয়া খাবলাইয়া খাবি। আপনি ভুলে যাবেন না বাংলার মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। যদি আপনি আপনার রাজাকার পরিচয়টা দেন। আপনি আমার সন্তানের মত থেকে চেয়ারম্যানের বাকি দিনগুলি শেষ করেন। আমি আপনাকে নিষেধ করলাম আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমার মৃত্যু হলেও আপনাকে ছাড়বে না। আপনি কেন অনুমতি নিলেন না কেন আলোচনা করলেন না। আপনি উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন। ওইদিন ভুলে যান।
সেলিম ওসমান বলেন, আমি বলে দিলাম মাকসুদ চেয়ারম্যানকে মুছাপুরে একটা জনসভা দেন আমি আসবো আমি এইটুকু বলতে চাই আমি যদি বলি মাকসুদের বউ ও মাকসুদকে ভোট দিবে না। আমার বিশ্বাস মাকসুদকে ত্যাজ্যপুত্র করতে হবে না সে আসবেই আমার কাছে এটা আমি বিশ্বাস রাখি। মাকসুদ আপনার ব্যাপারে আমি জানতাম না পরে জানতে পারলাম আপনি রাজাকারের পুত্র। সেই রাজাকারের সন্তান হয়ে কি ভাবে আমার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি ব্যানার ফেস্টুনে ব্যাবহার করেন। অনুরোধ করবো মাকসুদ তুমি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসো।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম কাশেম এর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধান।
ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ওসমান গনী ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বন্দর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফজাল হোসেন, বন্দর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা, বন্দর থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু প্রধান, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ গাজী সালাম, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আজিজুল হক আজিজ, বন্দর থানা আওয়ামী লীগ নেতা ও ২৬নং ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মোল্লা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন বি এ, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফয়সাল কবির, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী আহম্মেদ তুষার মাইন উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান মিশুক,নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তি যোদ্ধা সম্পাদক আরাফাত কবির ফাহিম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন, মেম্বার হাজ্বী আইয়ুব হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান মিজান, মদনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা ভূইয়া প্রমুখ।
Discussion about this post