সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় আলমাছ পয়েন্ট বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাফিউল রহমান আনিস (৩২) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রি নিহত হয়েছেন।
ভবন কর্তৃপক্ষ মিলনের সহযোগী রাজু জানিয়েছেন ঘটনার পর ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেছে একজন পুলিশের এটিএস আই মোকছেদুল !
রাতভর নাটকীয়তার পর পুলিশের দাবীকৃত অর্থের বিনিময় সমঝোতা হয় বললেন প্রত্যক্ষদর্শী।
পরে সকালে ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে আনিসের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিহত রাফিউল রহমান আনিস এর স্থলে লাভলু নাম এন্ট্রি করে অপর মিস্ত্রী ইসমাইল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার বেতগাড়ি ইউনিয়ন বাসিন্দা লতিফুল হক রঞ্জু ছেলে নিহত রাফিউল রহমান আনিস (৩২)।
গত রবিবার (২ এপ্রিল ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরে ২নং গেইটস্থ আলমাছ আলী পয়েন্ট কর্মরত অবস্থায় ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনদের দাবি উঠেছে।
এমন মৃত্যুর নেপথ্যে নানা সমালোচনার ঝড় উঠেছে নগরীতে।
প্রত্যক্ষদর্শী আলমাছ আলী পয়েন্টের কর্মরত অপর আরেক মিস্ত্রী জানান, মেইনলাইন বন্ধ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে জমিতে লুটিয়ে পরে আনিস। পরে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন।
এবিষয়ে রংপুর জেলা গংগাচড়া থানাধীন বেতগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল ইসলাম জানান, নিহত রাফিউল রহমান আনিস আমার ওয়ার্ডের ছেলে। আমি খবর পেয়ে দ্রুত নারায়ণগঞ্জে আসি। থানা পুলিশ বলেছে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নেওয়া যাবে না। কোন নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া একটি ভবনের ইলেকট্রিক কাজ করতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে আলমাছ আলী পয়েন্ট’র কর্তৃপক্ষ দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। এঘটনায় আমরা আইনি পদক্ষেপ নিব।
নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধীক ব্যাক্তি জানান, হাসপাতালে জরুরী বিভাগে মৃতদেহের প্রকৃত নাম পরিচয় লুকিয়ে ছদ্মনামে খাতায় এন্ট্রি করে তারা পালিয়ে যায়। পরে আলমাছ আলীর ছোট ভাই মিলন এসে ডাক্তারদের সাথে শলাপরামর্শ করে চলে যায়। আমরা জানতে পাড়ি মিলন একাধীকবার থানায় গিয়ে যোগাযোগ করে। এবং থানা পুলিশকে ম্যানেজ করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা আলমাছ আলীর ছোট ভাই মিলন এর কাছে চাওয়া হয়। দেন-দরবার হওয়াতে সকালে ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এমন রহস্যহনক মৃত্যুর ঘটনায় আলমাছ আলী পয়েন্টের মালিক পক্ষের মিলন এর সাথে একাধিকবার মুঠফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এঘটনার সদর থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরুজজামান জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পাই মেইন লাইনে সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মরদেহের দেন-দরবারের বিষয় নিয়ে তিনি অস্বীকার করেন। এক পর্যায় প্রতিবেদকের সাথে উত্তেজিত হয়ে অশোভনীয় আচরণ করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
শ্রমিকের রহস্যজনক এমন মৃত্যুর ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সাইদুর রহমান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, রাফিউল রহমান আনিস (৩২) এর মৃত্যুর বিষয়ে একিটি ইউডি মামলা হয়েছে। তদন্তের পর জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা ।
Discussion about this post