বন্দরের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছেই। একই সঙ্গে বাড়ছে প্রকল্পের মেয়াদও। দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাবে সেতু নির্মাণে ২৩০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি পঞ্চমবারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণের মূল অনুমোদিত প্রকল্পটির ব্যয় বরাদ্দ ছিল ৩৭৭ কোটি ৬২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। পরে বিশেষ সংশোধিত প্রস্তাবে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩৯ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। প্রথম সংশোধিত প্রস্তাবে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫৯৯ কোটি ২৭ লাখ ৫১ হাজার টাকা। দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাবে ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬০৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ফলে এক সেতু নির্মাণে ব্যয় বাড়ছে ২৩০ কোটি টাকা।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৪৫ কোটি ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঋণ দিচ্ছে সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট।
মূল অনুমোদিত প্রকল্পের কাজ নভেম্বর ২০১০ থেকে ডিসেম্বর ২০১৩ মেয়াদে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে নভেম্বর ২০১০ থেকে ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। দ্বিতীয় দফায় জুন ২০১৬ থেকে বিশেষ সংশোধনে ডিসেম্বর ২০২৬, তৃতীয়বার জুন ২০১৭ এবং চতুর্থ দফায় ডিসেম্বর ২০১৭ নাগাদ মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর জুন ২০২১ ও ডিসেম্বর ২০২২ নাগাদ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে।
পঞ্চম বার ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ নভেম্বর ২০১০ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ নাগাদ মেয়াদ বাড়ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলা এলাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য: শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর এক হাজার ২৩৪ দশমিক ৫০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে বন্দর উপজেলার সরাসরি সংযোগ স্থাপন এবং ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে বিকল্প রুট তৈরি করা।
প্রধান কার্যক্রম: ৪০০ মিটার ব্রিজের সুপার স্ট্রাকচার ও সাব-স্ট্রাকচার নির্মাণ, ভায়াডাক্টের সুপার স্ট্রাকচার ও সাব-স্ট্রাকচার নির্মাণ করা হচ্ছে। ১৩ দশমিক ২৭ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, এক হাজার ১৪২ মিটার চারলেন পেভমেন্ট নির্মাণ প্রকল্পের অন্যতম কাজ। এক হাজার ৫২৭ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক এবং এক হাজার ১৪২ মিটার চারলেন সড়ক ও সড়ক বাঁধে এক লাখ ঘন মিটার মাটির কাজ করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের মতামত: প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সেতুটি ১০ অক্টোবর ২০২২ তারিখে উদ্বোধন করা হয়েছে। সেতুটি উদ্বোধন করা হলেও ডিফেক্ট লাইয়াবিলিটি পিরিয়ডে কাজ বুঝে নেওয়া, বকেয়া বিল দেওয়া, রিটেনশন মানি ফেরত দেওয়া হয়। প্রকল্প সমাপ্তি প্রতিবেদন প্রস্তুতিসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজের জন্য মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।
Discussion about this post