কথায় আছে, “কারো ঘর পোড়ে, আর কেউ সেই আগুনে আলু পোড়া খায় !“ এমন প্রবাদের প্রমাণ করেছে নিতাইগঞ্জের একটি অসাধু চক্র। যারা নিজেদের শাসক দলের সাবেক একজন সংসদ সদস্যের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের কাছে নানা পন্থায় চাঁদাবাজি করার অপচেষ্টা করেই যাচ্ছে ।
বারবার ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদেরকে ঘটনার জন্য ব্যবসায়ী এলাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিপূরণ দাবীসহ অনেক শ্রমিকের ক্ষতি হয়েছে এমন অজুহাতে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে ফাদা হসিলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
নিতাইগঞ্জের এই চক্রটি একদিকে সাবেক এমপির আত্মীয় পরিচয় ছাড়াও আইনজীবীর আত্মীয় পরিচয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসায়ী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত নিতাইগঞ্জ – ডাইলপট্টিতে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট করে তুলেছে । আর এই বিস্ফোরণের সুযোগে নতুন নতুন অজুহাতে ব্যবসায়ীদের উপর চালাচ্ছে হুমকি ধমকি ।
নগরীর নিতাইগঞ্জের ডাইলপট্টির মোড়ে পুরাতন ভবনে বিস্ফোরণের পরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এবার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ভেকু মেশিন দিয়ে ভবনটি গুঁড়িয়ে দেয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন পরিকল্পনা কর্মকর্তা মইনুল হক বলেন, ভবনটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই জনগণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই ভবনে প্রায় দুই বছর আগেও একবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ভবনটি খুবই পুরান ও জরাজীর্ণ। ফলে ভবনটি আরও অনেক আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা ও অপসারণ করা উচিত ছিল।
এর আগে ২১ মার্চ দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেছিলেন, এই ভবনে আগুন লাগার বিষয়টি সবাই জানিয়েছেন। ফলে ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটা দ্রুত অপসারণ প্রয়োজন। আমরা খুবই জরুরি ভিত্তিতে এটা অপসারণের ব্যবস্থা নেবো।
১৮ মার্চ সকালে নিতাইগঞ্জে ডালপট্টি এলাকায় ইলিয়াস দেওয়ান নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন পুরোনো ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ভবনের দ্বিতীয় তলার দেয়ালসহ বারান্দার একটি অংশ ধসে পড়ে। এতে দগ্ধসহ আহত হন ১০ জন। ঘটনার দিন তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আওলাদ হোসেন (৬০) নামে একজন মারা যান। বাকিদের মধ্যে যারা দগ্ধ হয়েছিলেন, তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনিস্টিউটে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরে হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
Discussion about this post