সিদ্ধিরগঞ্জে নৌ-বাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকা তিন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এসময় তাদের নিকট থেকে ৩ ভরি স্বর্ণ, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল (পিপিএম)।
এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ ও রামপুরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন খুলনার সোনাডাঙ্গার মৃত শহীদ গাজীর ছেলে মো. কামাল গাজী ওরফে আদল শেখ (২৫), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার ভাড়াটিয়া মৃত আনছার আলীর ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে সজীব (২৯) এবং একই থানার মুসলিমনগর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে মো. আকাশ (১৮)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত ১৮ এপ্রিল রাত ৩.৪৫ টার সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি তালতলা এলাকার দেওয়ান মঞ্জিল নামে একটি বিল্ডিংয়ে দ্বিতীয় তলায় হাজী রায়হান উদ্দিন দেওয়ান মুন্নার ফ্লাটের জানালার গ্রিল কেটে অজ্ঞাত ৮/৯ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৫১ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ, ৫টি মোবাইল ফোন, ১টি ম্যাকবুক এবং নগদ ১০ লাখ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যান। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। এরপর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গোদনাইল মধুঘর এলাকা থেকে আসামি মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. আকাশকে গ্রেফতার করা হয়। পরে এই আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে ঢাকার রামপুরা থেকে আরেক আসামি মো. কামাল গাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের থেকে লুণ্ঠিত ৩ ভরি স্বর্ণ উদ্ধােরে পাশাপাশি তাদের দেয়া তথ্য মতে জালকুড়ি তালতলা ডিএনডি খাল হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র-সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সত্যতাসহ মোট ৭ জন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারকৃদের মধ্যকার মো. কামাল গাজীর বিরুদ্ধে ৮টি ডাকাতি এবং মোঃ রফিকুল ইসলামের এর বিরুদ্ধে ২টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। এদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলাম ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।
Discussion about this post