সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ঢাকেশ্বরী এলাকার একটি বাসায় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ মোছা. আফরোজা আক্তার (৩৭) মারা গেছেন।
এ ঘটনায় একই পরিবারের দুই শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধ অন্য তিনজন হলেন- নিহত আফরোজার স্বামী জসীমউদ্দীন (৪৩), ও মেয়ে জয়া আক্তার (১৩), ও ছেলে মোহাম্মদ জুনায়েদ (৭)।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ অবস্থায় তাদের চারজনকে সকাল ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
নিহত আফরোজার দেবর বিল্লাল হোসেন জাগো নিউজকে জানান, তার ভাইয়ের বাসা নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকেশ্বরী এলাকায়। ভোরের দিকে তার ভাবি রান্না করার জন্য চুলায় দিয়াশলায় দিতেই তার শরীরে আগুন লেগে যায়। পরে তার ভাই ভাবিকে বাঁচানোর জন্য গেলে তার শরীরেও আগুন লেগে যায়। তাদের মেয়ে ও ছেলে এগিয়ে গেলে তারাও দগ্ধ হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইয়ুব হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসে। তাদের ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন রাত আটটার দিকে আফরোজা আক্তার মারা যান।
তার শরীরে ৯০ শতাংশ, তার স্বামী জসীমের শরীরে ৫০ শতাংশ ও মেয়ে জয়া দুই হাত ও মুখ ঝলসে গিয়েছে। এছাড়া ছেলে জুনায়েদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের চারজন শেখ হাসিনা বার্নে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আফরোজা বেগম নামে একজন মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post