“বর্তমান সরকার এখন সম্পূর্ণ মিথ্যাচারের উপর টিকে আছে। বিএনপি কে নির্মূল করার জন্য যে কর্মসূচি তারা গ্রহণ করেছে। সেই শাসন কায়েম রাখার অংশ হচ্ছে আজকে অনিককে এইভাবে হত্যা করা। ছাত্রদল নেতা অনিককে ধাওয়া করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আপনারা নেতাকর্মী দেখে বুঝতে পারছেন না। চারিদিকে সবাই এসে তার পদ পদবী সহ উল্লেখ করা হচ্ছে সে তাদের লোক। তারা সব ব্যাপারে আমাদের লোককে নিজের লোক দাবি করে। যেমন নারায়ণগঞ্জের শাওনের ব্যাপারে তারা কি করেছে তা আপনারা দেখছেন। বিপদে পড়লে তারা আমাদের লোককে নিজেদের লোক বলে দাবী করে। তারা গুম খুন আর ভয় দেখিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে চায়। জনগন জেগে উঠেছে যে কোন সময় সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে উঠবে।”
এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন বলেছেন, সারাদেশে জনগন এখন আতংকে দিন পার করছে। যখন খুশি থাকে খুশি হত্যা করা এখন আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতা অমিত হাসান অনিককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে ছাত্রলীগ।
নিহতের নামাজে যানাজায় বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয়, জেলা উপজেলার অসংখ্য নেতাকর্মী ছাড়াও অংশ নেন উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ ফরিদ মাসুম নিহত অনিককে নিজেদের কর্মী দাবি করে তাকে ছাত্রদলের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা ছাত্রদল আয়েজিত মশাল মিছিলে যুবলীগ ধাওয়া করলে পালাতে গিয়ে গাড়ি চাপায় মারা যান কাঞ্চন পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি অনিক। পরে তাকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেন ছাত্রলীগ। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না দেয়ায় এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ভোলাবো পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান।
Discussion about this post