শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় মরদেহের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন স্ত্রী তানিয়া।
এর পূর্বেই স্বামীর লাশ অজ্ঞাত নামা হিসেবেই নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পরে ছিলো।
স্বামীকে দুই দিন যাবৎ না পেয়ে ফতুল্লা থানায় নিখোঁজের জিডি করতে আসেন স্ত্রী তানিয়া ।
থানায় এসে মিললো হাসান (৩০) নামের এক যুবকের লাশের সন্ধ্যান ।
এর আগে শুক্রবার সকালে ফতুল্লার পিলকুনি মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন ডোবা থেকে হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হাসান কুষ্টিয়ার বাজের মাঝির দৌলতপুর আবু সামেদ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার কাশিপুর খিল মার্কেট এলাকায় মজিবরের বাসায় ভাড়ায় থাকতেন।
নিহত হাসানের স্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মনিরের গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন আমার স্বামী। পরে সকালে বাসায় ফিরে না আসায় গ্যারেজে গিয়ে জানতে পারি তিনি (হাসান) অটোরিকশা নিয়ে ফিরে আসেনি। এরপর শনিবার সকালেও বাসায় ফিরে না আসায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে এসে অজ্ঞাত এক মরদেহ উদ্ধারের খবর পাই। পরে ছবি দেখে আমার স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করি।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হাসানকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজন পিলকুনি মোল্লা বাড়ী মসজিদ সংলগ্ন একটি ডোবায় লাশ দেখতে পেয়ে। ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা ছিলো, বৃহস্পতিবার রাতের যে কোন সময়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে ডোবায় ফেলে রেখে গেছে। নিহতের পরনে জিন্স প্যান্ট ও গায়ে নীল রংয়ের ফতুয়া ছিল।
Discussion about this post