চাঞ্চল্যকর বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খন্দকার মো. ইউনুছ আলীকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল সোমবার নারায়ণগঞ্জের কেল্লাপুর এলাকা থেকে ইউনুছকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২।
আজ মঙ্গলবার র্যাব-২-এর পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-২ বলছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বজিৎ হত্যার দীর্ঘ ১০ বছর পর ইউনুছকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি নিজেও এ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
র্যাব বলছে, ইউনুছের বাড়ি মাগুরা। তাঁর বাবার নাম খন্দকার ইয়াকুব আলী।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ চলাকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে দরজি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল কর্মী নৃশংসভাবে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করেন।
হত্যার ঘটনায় রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ২১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। পরে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৩ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে ইউনুছ ছিলেন। তবে তিনি পলাতক ছিলেন।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৮ আসামির মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, চারজনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন এবং অপর দুজনকে খালাস দিয়ে ২০১৭ সালে রায় দেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে যে দুজন আপিল করেছিলেন, তাঁরা খালাস পান। পলাতক ইউনুছের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। মামলাটি এখন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
Discussion about this post