আইভী বলেছেন, “আর্থিক সহযোগিতার পরিবর্তে প্রশিক্ষণ দিয়ে মানবসম্পদকে অত্যন্ত দক্ষ করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, ‘যাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। তাদের যদি টাকার পরিবর্তে ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতো। তাদের এক বছর ট্রেনিং দিয়ে কোন কাজে দক্ষ করে তুললে। তারা পরবর্তীতে স্থায়ী চাকরি পেতো।’ট্রেনিং দিয়ে আমাদের মানবসম্পদকে অত্যন্ত দক্ষ করতে হবে। কারণ আমরা ১৬ থেকে ১৭ কোটি মানুষ। সেই মানুষকে দক্ষ করার জন্য কাজ করতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়নে সবাই এগিয়ে আসতে পারবো ।“’
রোববার ২৭ মার্চ দুপুরে শহরের শায়েস্তা খাঁ সড়কের জেলা সরকারী গ্রন্থাগারের মিলনায়তনে কক্ষে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নারায়ণগঞ্জ ইউনিটের উদ্যোগে কোভিড-১৯ এ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আইভী এসব কথা বলেন।
মেয়র আইভী বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জকে এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, যে এ টাকা কখনো নারায়ণগঞ্জে আসলে আমরা বলবো না। এটা অন্য জায়গায় দাও। এ জেলা অনেক স্বাবলম্বী হয়েছে। আমরা সেই স্বাবলম্বী অবস্থায় দেখতে চাই।’
নগদ অর্থ সহায়তা পাওয়া মানুষের উদ্দেশ্যে আইভী বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে সাহস থাকতে হবে। যে আমি আজকে এ টাকাটা নিলাম কিন্তু আমি আগামী ৫ বছরের মধ্যে এইরকম ৫ হাজার টাকা অরেকজনকে দিবো। এরকম চিন্তা যদি আপনারা করেন তাহলে আপনারা দেখবেন এগিয়ে যাচ্ছেন। আপনাদের মনমানসিকতাও হবে আমাকে কাজ করতে হবে।’
রেডক্রিসেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র আইভী বলেন, ‘আপনারা খোঁজে খোঁজে বের করে নিম্ন আয়ের মানুষকে যে সহযোগিতা করেছেন এজন্য ধন্যবাদ। এ সহযোগিতাটা আমাদের মাঝে মাঝে করতেই হয়। তবে স্থায়ী ভাবে কিভাবে করা যায় সেটা চিন্তা করতে হবে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ ও নারায়ণগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট এর চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর-উর-রহমান, বিটিশ রেড ক্রস প্রতিনিধি আশিষ কুমার কুন্ডু প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট এর চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ‘বাংলাদেশ ডে ক্রিসেন্ট সোসাইটি সকল ধরনের দুর্যোগে সরকারের সহযোগি প্রতিষ্ঠান হয়ে সবার আগে ভুক্তভোগি জনগোষ্ঠীকে জাত, ধর্ম, বর্ণ ভেদাভেদ না করে সহায়তা করে আসছে। এই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জে ব্রিটিশ রেড ক্রসের সহযোগিতায় এক হাজার পরিবারের মধ্যে দুই ধাপে ৫ হাজার টাকা করে মোট দশ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রধান করা হবে। যার ধারাবাহিকতায় আজকে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে ৫০০ পরিবারের মধ্যে।
তিনি আরো বলেন, ‘পরিবারের মাথাপিছু মাসিক গড় আয় ৪ হাজার টাকা বা তার চেয়ে কম, কোভিড এর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ পেশা বা নিম্ন আয়ের পেশা, উপার্জনকারী ব্যক্তি বর্তমানে বেকার, পরিবারে প্রতিবন্ধী সদস্য আছেন, পরিবারে জটিল রোগে (দীর্ঘস্থায়ী) আক্রান্ত রোগী আছেন, পরিবারে বিধবা নারী আছেন, পরিবারে ৬০ বছর বা তার অধিক বয়সী সদস্য আছে এমন পরিবারে অর্থ সহায়তায় অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।
Discussion about this post