নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লবের বাবা প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আব্দুর মান্নানের মাসদাইর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদল এবং সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী।
শুক্রবার ২৬ মার্চ বাদ জুম্মা আজমেরী বাগের খালি মাঠে জানাযা উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ, বিভিন্ন সংগঠন ও হাজারো গ্রামবাসী। এ সময় হাসিমুখে হাজী আব্দুর মান্নানকে শেষ বিদায় জানান তারা।
জানাযা উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ছেঙ্গিস, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের সভাপতি হাজী নুরুউদ্দিন, নাসিক ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমসের আলী ঝন্টু, সমসের আলী ঝন্টু, সমাজসেবক মনির হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা নাসির ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা, বীরমুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিউল্লাহ মাহমুদ খান,বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী নূর মিয়া, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম,অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম জাকু প্রমুখ।
জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর কাদির সকালে তার বাস ভবনে গিয়ে পরিবার কে সমবেদনা জানান।
জানে আলম বিপ্লব বলেন, ছোট বেলা থেকে বাবা দেখিছি আওয়ামীলীগের রাজনীতি সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই ফতুল্লা ওয়ার্ড থেকে তিনি ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হয়েছেন।
এলাকার মানুষের পাশাপাশি কয়েকটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। মানুষের চলাচলে জন্য প্রধান সড়ক পাশাপাশি মহল্লা ভিত্তিক সড়ক নির্মাণের ভূমিকা রেখেছেন। আমার মা ও বড় ভাই ১৯৭৪ সালে ডাকাতের হামলায় নিহত হয়েছিলেন। বাবা কখনো কারো সাথে খারাপ আচরণ করেনি। তিনি বরং কারো খারাপ ভালোকে প্রকাশ্যে তাকেই বলে দিতেন। বড় বাড়ী মসজিদ বায়তুল মোবারক জামে মসজিদে নিজের হাতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই মসজিদের প্রতিদিনে মুসল্লী ছিলেন তিনি। তিনি আরো মসজিদ নির্মাণের সাথে জড়িত ছিলেন। আমার বাবা জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।
উল্লেখ্য, বুধবার ২৪ মার্চ তল্লা বড় বাড়ি’র নিজ বাড়িতে ব্রেন ষ্ট্রোক করলে তাকে দ্রুত ঢাকা শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অধ্যাপক দীল মোহাম্মদ তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Discussion about this post