নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
হঠাৎ করেই পরপারে চলে গেলেন স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের লড়াকু সৈনিক সাবেক ছাত্রনেতা রতন দত্ত (৪৯ )। তার পিতা শহরের নন্দীপাড়া নিবাসী স্বর্গীয় উমেশ দত্ত এবং হাসি দত্তের ৪ ছেলে ৪ মেয়ের মধ্যে রতন দত্তের অবস্থান ছিলো ৭ম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রতনের পারিবারিক সূত্র জানায়,গত বৃহস্পতিবার তিনি বাঞ্ছারামপুরের খোশকান্দি গিয়েছিলেন গুরুদেবের আশ্রমে। সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকার সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সকালে তার মরদেহ নন্দীপাড়া বাসভবনে আনা হয়।
সেখানে তার মরদেহে উদীচী, বিবর্তন, সিপিবি, গণসংহতি, সাংস্কৃতিক জোট, বোস কেবিন, সমমনা প্রভৃতি সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিকেল ৫টায় মাসদাইর শ্মশানে মরদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
রতন দত্তের অকাল প্রয়াণ ঐতিহ্যবাহী ‘বোস কেবিন’এর আড্ডাপ্রিয় মানুষদের ব্যথিত করেছে। বোস কেবিনে’র মালিক এবং কর্মচারিরাও বিচলিত হয়েছেন তার মৃত্যু সংবাদে। সকাল-বিকাল রতনের পদচারণায় মুখর হতো বোস কেবিন।
নয়ামাটিতে ছিলো রতনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তার বন্ধু সুজিত সরকার জানান, নয়ামাটির অনেক ব্যাবসায়ীর কাছেই রতন টাকা পান। তার মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর কেউই তার বাসভবনে আসেননি।
তার পরিবারটির সহায়তায় এগিয়ে এসে পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
Discussion about this post