বিশেষ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে ময়ুরপঙ্খী বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় কমান্ডো অভিযানে নিহত পলাশ আহম্মেদের বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তকারী সংস্থা সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি দল।
এ ঘটনায় নিহত পলাশের সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা শিমলাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শনিবার রাত সাতটার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়য়ার নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামে নিহত পলাশের বাড়িতে আসেন।
এ সময় তারা নিহত পলাশের বাবা পিয়ার জাহান, মা রেনু বেগম, বোন, চাচা দ্বীন ইসলাম, আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। তারা পলাশের বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের তথ্য, কর্মজীবন, অতীত কর্মকান্ড, চিত্রনায়িকা শিমলাকে বিয়ে করাসহ নানা বিষয়ে সন্ধ্যা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আড়াই ঘন্টা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য লিপিবদ্ধ করেন তারা।
তদন্তের অগ্রগতি ও জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, তদন্তের স্বার্থে নিহত পলাশের বাবা-মা সহ আত্মীয়-স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এর আগে ওই বিমানের পাইলটসহ সিভিল এভিয়েশনের সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পলাশের সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা শিমলাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে নিহত পলাশের বাবা জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের কাছে তার ছেলে পলাশের বিভিন্ন বিষয়ে সর্ম্পকে তার স্ত্রী, মেয়ে ও প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। পলাশ কোথায় পড়াশোনা করেছে, সে ঢাকায় কোথায় থাকতো এবং গত ২২ ফেব্রুয়ারী দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘটনার দিনের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছেন তারা।
পলাশের চাচা দ্বীন ইসলাম জানান, পলাশের ব্যবহৃত মুঠোফোনের ব্যাপারে বেশী জানতে চেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই মুঠোফোনটি মুলত পলাশের বোনের নামে ছিল। এছাড়া পলাশের সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা শিমলা সর্ম্পকে জানতে চেয়েছেন, পলাশ শিমলাকে কবে বিয়েছে, শিমলা কতবার এখানে এসেছিল- সেসব বিষয়েও জানতে চেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত বিমান বন্দরে বাংলাদেশ বিমানের ময়রপঙ্খী বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে কমান্ডো অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পলাশ আহম্মেদ। এ ঘটনার দুইদিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারী নিহত পলাশের গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়। বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি তদন্তের ভার দেয়া হয় সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে। (ফাইল ফটো)
Discussion about this post