এনএনইউ রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জ সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে শহরের কলেজ রোড, মাসদাইর, ইসদাইর, আমলাপাড়া, প্রেসিডেন্ট রোড এলাকায় গড়ে উঠা কোচিং সেন্টার পরিচালনাকারী সরকারী বিদ্যালয়ের অসাধু শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের কোনভাবেই থামানো যাচ্ছিলো না । এমনকি খোদ শিক্ষামন্ত্রী ডা: দিপু মনি কঠোর আদেশের পরও নারায়ণগঞ্জ মহনগরীর অনেক কোচিং সেন্টার এখনো রয়েছে চালু ।
এমন ঘটনায় নারায়লগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ রব্বি মিয়া এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ঘোষনা দেন কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে । এমতাবস্থাও থামানো যাচ্ছে না কোচিং বাণিজ্যের হোতাদের ।
শেষ পর্যন্ত রবিবার ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নগরীর কলেজ রোড ও মাসদাইর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান মারুফের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে ধরা পরে কয়েকটি কোচিং সেন্টার ।
সরকারের এমন নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে কিউরিয়সিটি, একাউন্টিং গ্যালারী কোচিং সেন্টার ও টাংগাইল ক্যাডেট এন্ড একাডেমিক স্কুলকে ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া খোলা ছিলো এমন কয়েকটি কয়েকটি কোচিং সেন্টারকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান মারুফ বলেছেন, জানুয়ারির ২৮ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারীর ২৮ তারিখ এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন এই এক মাস সকল ধরণের কোচিং বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া ও এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারী করে দিয়েছে। কিন্তু এ সকল নির্দেশ অমান্য করে কোচিং পরিচালনা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কলেজ রোড ও মাসদাইর এলাকায় সরজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
সরকারি আদেশ অমান্য করে কার্যক্রম পরিচালনা করার অপরাধে বাংলাদেশ দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা অনুযায়ী ২ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ডসহ ৩ কোচিং সেন্টারকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমি নিজে তালা দিয়ে এসেছি। এছাড়া অন্যান্য কয়েকটি কোচিং সেন্টারকে সতর্ক করে দেয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে অনেক অভিভাবক জানান, নারায়ণগঞ্জ সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রায় সকল শিক্ষক/ শিক্ষিকারা এখনো কোচিং সেন্টার চালু রেখেছে । তাদেরকে আইননের আওতায় কেন আনা হচ্ছে না তা সকলেই খুব ভালো করেই বুঝেন। আগে নিজের ম্যেকার ভূত তাড়ানো উচিত বেলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ। জেলা প্রশাসনের ও জেলা শিক্ষা অফিসের অনেকরে বাচ্চারা এদের কোচিং সেন্টারেই পরে অতএব সরকারী আদের আগে সরকারের কর্মচারী কর্মকর্তাদের মেনে চলা উচিৎ ।
Discussion about this post