ষ্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসষ্ট্যান্ডের পাশে রেলওয়ের জমির উপর বিশাল সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে জুয়ার রমরমা আসর এখনো বন্ধ করে নাই নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন। ফলে সামাজিক ভারসাম্য মারাত্মক হুমকির মুখে পরেছে । বিশেষ পেশার কয়েকজন হোমরা চোমরার নামে এই জুয়ার আসর চলছে বিরামহীনভাবে।
প্রতিদিন এই আসর থেকে পরিচালনাকারী ড্রাইভার শাহজাহান একেকজন বিশেষ পেশার লোকজনকে ২/৩/৪/৫ হাজার টাকা করে দিয়ে প্রকাশ্যে চালানো হচ্ছে জুয়া । শাহজাহান বাসষ্ট্যান্ড ছাড়াও শহরের কালীরবাজার ও বন্দরের অজ্ঞাত স্থানে এই জুয়ার কারবার চালাচ্ছে একটি বিশেষ পেশার এসোসিয়েশনের ব্যানারে।
নারায়ণগঞ্জের অসংখ্য জুয়ার আসর ছাড়াও এসেসিয়েশনের ব্যানারে পরিচালিত কয়েকটি জুয়া কারা কারা চালায় তার বিস্তারিত তথ্য প্রশাসনের কাছে থাকার পরও অজ্ঞাত কারণে জেলা প্রশাসন এমন প্রকাশ্যে নগ্ন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই।
জুয়া পরিচালানাকারী ড্রাইভার শাহজাহান দম্ভ করে এসেসিয়েশনের সকল সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালী (……..পোলারা, কুত্তার বাচ্চা, ……….) দিয়ে জানায়, এই জুয়া থেকে ওরা প্রতিদিন টাকা নেয় নারায়ণগঞ্জে ৩০ জন সাংংবাদিকের নাম করে। এই টাকা সাংবাদিকরা খায়, পুলিশ খায়, প্রতিদিন, প্রতিমাস হিসেবে এই টাকা নেয় (………………..আবার গালী)
ঘটনার বিরবরণে জানা যায়, গত পহেলা ৩১ জানুয়ারী মধ্যবাত সাড়ে বারোটায় ছোট ভাইকে খুজতে বের হয়েছে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার এক সময়ের বিদেশ প্রবাসী বাপ্পি মিয়া। খুজতে খুজতে শহরের বাসষ্টান্ড এলাকার শাহজাহানের আখড়া হিসেবে পরিচিত জুয়ার আস্তানায় ভাইকে খুজে পেলেও বাপ্পি মিয়াকে বাধা দিয়ে ছোট ভাইকে নিয়ে যেতে দিবে না জুয়ার হোতা ড্রাইভার শাহজাহানসহ আরো কয়েকজন।
মারমূখি আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়ে সংবাদপত্র কর্মীরা খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ৩১ জানুয়ারী মধ্যরাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখা যায় এক আজব চিত্র। কনকনে শীতের মধ্যে এমন মধ্যরাতে শহরের সর্বত্র শুনশান নিরবতা থাকলেও বাসষ্ট্যান্ড এলাকার শাহজাহানের জুয়ার আস্তানা ঘিরে প্রকাশ রমরমা জুয়াসহ বিশাল আয়োজন এবং সেই সাথে এই আস্তানা ঘিরে রয়েছে নানা আয়োজন। জুয়ার এই সার্বক্ষনিক আখড়ায় আয়োজন থাকে মদ, বিয়ারসহ অনেক কিছুই।
ঘটনার বিবরণে বাপ্পি মিয়া জানায়, আমি বিদেশ থাকাবস্থায় ছোট ভাইকে দিগুবাবুর বাজারে ব্যবসা করতে কয়েক লাখ টাকা দিয়েছি । এখন খোজ নিয়ে দেখি সে (ছোট ভাই) বাস ষ্ট্যান্ডের জুয়ার আসরে এসে সকল পুজি নষ্ট করে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এরপরও নানাভবে ধারদেনা করে জুয়ার আসরেই পরে থাকে। তাকে ফিরিয়ে নিতে আসলে বাধা দেয় শাহজাহান বাহিনী । আর মারমূখি আচরণে আমি ভীত হয়ে পরেছি। বাপ্পি আরো জানয়ে এই জুয়ার আস্তানায় শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে পরেছে। আশ্চর্যজনক এক চিত্র দেখলাম এখানে এসে ।
মারমুখী আচরণের এক পর্যায়ে বাপ্পি ও তার ভাইয়ের সাথে সাথে অন্যান্য জুয়ারীরা অশোভন আচরণ করে সংবাদকর্মীদের সাথে ড্রাইভার শাহজাহানসহ আাসরের অনেকের সাথে বাকবিতন্ডার পর বাপ্পি ও তার ভাইকে আটকাবস্থা থেকে ছেড়ে দেয় বাত দেড়টায় ।
এখনো এমন প্রকাশ্য জুয়ার বিষয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর কেউ মুখ খুলতে রাজি হয় নাই । তবে কোন কোন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অেনুরোধ করে বলেন, এই জুয়ার বিষয়ে পুলিশ বিব্রতকর অবস্তায় রয়েছে । অচিরেই কোন ফলাফল পাওয়া যাবে ।
Discussion about this post