নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং এক সময়ের দূর্ধর্ষ প্রভাবশালী সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামী জাকির খানের ছোট ভাই জিকু খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় যাবৎ পলাতক থাকার পর হত্যা মামলার ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে গত শুক্রবার শহরের পাইকপাড়ায় বিয়ে করে জিকু । অত্যান্ত গোপনীতার সাথে বিয়ের পর খবর টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর টনক নঢ়ে পুলিশের ।
এরপর মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী দুপুরে দেওভোগ এলাকার নিজ বাসভবনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে। জিকু খান শহরের দেওভোগ এলাকার প্রয়াত দৌলত খানের ছেলে । গত ৩ জানুয়ারি জিকু খান বিয়ে করেন।
পুলিশ জানায়, জিকু খানের বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকসহ ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।
ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলা, সোহাগ হত্যাসহ একাধিক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি জিকু খান। এ ছাড়াও অসংখ্য মামলার আাসমী হলেও প্রায় সকল মামলায় ই খালাস পায় জিকু । দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে শহরের ব্যাপকভাবে পরিচিত জকিু খানের বিরুদ্ধে ছিলো অসংখ্য অভিযোগ ।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে দেওভোগ এলাকার অনেকেই বলেন, জিকু খান শহরের ডিআইটির উপর নিজের একটি টর্চার সেল তৈরী করে সেখানে নানা অপকর্ম পরিচালনা করতো । সেই টর্চার সেলের ভিতরেই সোহাগকে হত্যার পর টুকরো করে পাশের ডোবায় য়েলে দেয় । এরপর এই টর্চার সেল তৎকালীন সময়ে সিলগালা করে দেয় জেরা প্রশাসক হারুন অর রশিদ । একই সাথে দেওভোগ জিউস পুকুর পাড়ে প্রকাশ্যে মাদকের ব্যবসা করতো । সেই সময়ে জিকু খানের ছিলো বিশাল অস্ত্রের ভান্ডার । যার দৃশ্য এখনো মনে করে আতকে উঠে এলাকার শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ । জিকু খান এলাকায় ফিরে আসার খবরে আতংকে রয়েছে এলাকবাসী । এমন মন্তব্য অনেকের ।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ফতুল্লার সোহাগ হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ।
আদালতের একটি নির্ভযোগ্য সূত্র জানায়, প্রয়াত দৌলত খানের ছেলে জিকু খানকে একটি হত্যা মামলার ওয়ারেন্টে আদালতে পাঠানের পর বিজ্ঞ বিচারকের আদেশে জিকু খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ।
Discussion about this post