নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তাই সত্য হয়েছে । প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়াসহ দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিলো । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই শতাধিক শর্ট গানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলেও থমথমে ছিলো পরিস্থিতি । ২০১৮ এর ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর চাষাঢ়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় মেয়র আইভীসহ অনেকেই আহত হওয়ার ঘটনায় দীর্ঘদিন পরআদালতের আদেশে সদর েথানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করলে এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন গ্রহণ করে আসামীদের মধ্যে অনেকেই । বাকী থাকে শুধু মামলার মূল আসামী নিয়াজুল ইসলাম
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নারায়ণগঞ্জের আদালতে জামিননামা দাখিল করেছেন সাংসদ শামীম ওসমান অনুসারী ৮ নেতা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালতে এই জামিননামা দাখিল করা হয়।
তারা হলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব, আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন ও চঞ্চল মাহমুদ।
এর আগে তারা হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন পান। তখন উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো চার সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিল করতে হবে। সে নির্দেশনার অনুপাতে চার সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই তারা জেলা দায়রা ও জজ আদালতে জামিননামা দাখিল করেছেন। তবে, এই মামলার মূল আসামী নিয়াজুল ইসলাম দেশের বাইরে থাকার কারণে উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন নেননি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন। তখন উচ্চ আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে সরাসরি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জামিননামা দাখিলের নির্দেশ দেন। তবে চার সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই তারা জামিননামা দাখিল করেছেন কেবলমাত্র মামলার প্রধান আসামী নিয়াজুল ইসলাম ছাড়া।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি হকার বসানোকে কেন্দ্র করে মেয়র আইভীর উপর হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনার ২২ মাস ১৮ দিন পর ৪ ডিসেম্বর আদলত আইভীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর ৫ ডিসেম্বর সদর থানা পুলিশ মামলা রেকর্ড করে।
Discussion about this post