বন্দর প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে শান্তিনগর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে বাংলদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাইনবোর্ড সাটিয়ে বাল্কহেড ও ট্রলার থেকে চাঁদাবাজি ও চোরাই তেল বিক্রির অভিযোগ উটেছে জোড়ালোভাবে ।
শান্তিনগর এলাকার মাদক ব্যাবসায়ী জুয়েল, সোহেল ও আ: সাত্তার মাদবরগং এ চাঁদাবাজি ও চোরাই তেল বিক্রি করছে বলে জানান এলাকাবাসী।
জানতে যায়, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, ও গাজিপুর বেশ কয়েকটি হাউজিং সাইট রয়েছে এ সাইটগুলোতে দিনরাত বালু ভরাটের কাজ চলে। শীতলক্ষ্যা ও মেঘনা থেকে ট্রলার দিয়ে নিয়ে আসা হয় এ বালু। স্পটগুলো থেকে বালুভর্তি ট্রলার নদীর ওপর দিয়ে এসে পৌঁছায় এসব হাউজিংয়ে। আর প্রতিটি ট্রলারকে গন্তব্যে যাওয়া ও আসার পথে দিতে হয় ৬ থেকে ৭ ঘন্টা রেস্ট। এ রেস্টের জন্য নিরিবিলি স্থান হিসেবে শান্তিনগর এলাকাকে বেছে নেয় বাল্কহেড চালকরা। নোঙ্গর করা বাল্কহেড ও ট্রলার থেকে আধায় করা হয় ২শত থেকে ৩শত টাকা চাঁদা এবং বাল্কহেড থেকে নামিয়ে নেওয়া হয় ২৫ থেকে ৩০ লিটার চোরাই তেল।
এব্যাপারে ট্রলার চালকরা বলেন, এখানে আগে চাঁদা দিতে হতো না, এখন নতুন করে এখানে চাঁদা দিতে হয় আর ট্রলার মালিকরা এ চাঁদা দিয়ে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। বালু বিক্রি করার সময় এ খরচ হিসাব করেই দাম ধরা হয়। আমাদের বালুভর্তি ট্রলারটি গন্তব্যে পৌঁছাতে ৯টি স্পটে চাঁদা গুণতে হয়। চাঁদাবাজির এ স্পটগুলোর কাছে বালুভর্তি ট্রলারগুলো প্রধান টার্গেট। এসব ট্রলারকে কেন্দ্র করেই জমে ওঠে চাঁদাবাজদের ব্যবসা।
এলাকাবাসী বলেন, প্রতিদিন আছরের পর থেকে এখানে বাল্কহেড ও ট্রলার জমতে শুরু করে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ বাল্কহেড ও ট্রলার। প্রতিটি বাল্কহেড ও ট্রলার থেকে ২শত থেকে ৩শত টাকা করে চাঁদা আদায় করে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নামে জুয়েল, সোহেল ও আ: সাত্তার মাদবরগং। এবং বাল্কহেড ও ট্রলার চালকরা চুরি করে ২৫ থেকে ৩০ লিটার করে তেল বিক্রি করে আর সেই তেলও এরা কম দামে ক্রয় করে অন্য যায়গায় বেশি দামে বিক্রি করছে।
এব্যাপারে মালিকরা বলেন, লাখ লাখ টাকা খরচ করে আমরা ট্রলার বানাই। এরপরও আবার ঘাটে ঘাটে দিতে হয় চাঁদা। চাঁদার টাকা না দিলে তারা আমাদের স্টাফদের মারধর করে।
এব্যাপারে চাঁদাবাজদের সাথে কথা বলতে মোবাইল ফোনে কল দিলে কল রিসিব করেন না।
বন্দর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম কুদরত এ খোদা বলেন, চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। তবে খোজ নিয়ে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post