নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন চন্দ্র বসাক কে কারাগারে পাঠিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেন এর আদালত।
দীর্ঘদিন গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন চন্দ্র বসাক পলাতক থাকার পর আজ রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদারতের বিজ্ঞ বিচারক দুই আসামীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এমন বিষয়টি নারায়ণগহ্জ নিউজ আপডেট কে নিশিচ্ত করেছেন নারায়ণগাঞ্জ আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান।
এর পূর্বে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসসামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর মধ্যরাতে স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপন, বাবুল ও মামলার বাদী আনিসুর রহমান আলমগীরকে তুলে নিয়ে চাঁদার দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। তাদরর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন আলমগীর।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মৃণাল কান্তি দত্ত বাপ্পী বলেন, মামলা দায়েরের পর আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য পাঠায়। সেই তদন্ত রিপোর্ট আদালতে আসার পর বিচারক মামলাটি আমলে নেন। তিনি বলেন, ‘মামলাটি হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে। পরে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’
জাহিদুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘সোনারগাঁ উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায় আমার প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ হয়ে ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর মধ্যরাতে পুলিশ আমার বাড়িতে হানা দেয়। পুলিশ আমার হাত-পা ও চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে থানায় নিয়ে একটি কক্ষে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন চালায়।
তৎকালীন সময় ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন চন্দ্র বসাক জমিটি ছেড়ে না দিলে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেন। ক্রসফায়ার থেকে বাঁচতে হলে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পুলিশের এই প্রস্তাবে রাজি না হলে আমাকে বেদম মারধর করা হয়। তাতে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে পুলিশ আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবার থানায় এনে সারা রাত নির্যাতন করে। পরদিন ৮ অক্টোবর বিকেলে পুলিশ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর জিম্মায় আমাকে ছেড়ে দেন।’
Discussion about this post