বারবার আশ্বাস দিয়েও বেতন ভাতা পরিশোধ না করায় আবারো ফতুল্লা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ক্রোনি অ্যাপারেলস নামে স্থানীয় একটি কারখানার প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক–কর্মচারী এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। এ সময় ঢাকা–মুন্সিগঞ্জ সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।
এর আগে গত শনিবার (১৬মার্চ) একই দাবিতে শ্রমিকেরা রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে। ওই দিন আজ (মঙ্গলবার) বকেয়া বেতন–ভাতা পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা কাজে ফিরে যায়।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ এলে তারা রাস্তা ছেড়ে দিলেও কারখানার সামনে অবস্থান নেয় দুপুর পর্যন্ত। উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্ত করতে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আগামীকাল বুধবার বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হয়। সাদা কাগজে এই বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকার দেওয়ার পরেই শ্রমিকেরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগদানের পর বেতনের বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট বিভাগে যান। কিন্তু কর্মকর্তারা বেতন দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারছিলেন না। বেতন না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই কাজ ফেলে সড়কে নেমে আসেন শ্রমিকেরা। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
শ্রমিক আফজাল হোসেন বলেন, ‘বারবার বকেয়া বেতন নিয়ে গড়িমসি করছে মালিকপক্ষ। বেতন পাওয়ার পর এই কারখানায় আর কাজ করব না। এখন রোজার মাস, সামনে ঈদ। বেকায়দায় পরে আটকে গেছি। বহু টাকা ঋণ করে চলছি। এগুলো পরিশোধ করতে হবে। ঈদের পর অন্য কোথাও কাজ খুঁজব।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার একজন কর্মচারী বলেন, ‘গত শনিবার আমরা বিক্ষোভ করেছি। তখন আমাদের বলল, মঙ্গলবার দেবে। আজকে বেতন দেওয়ার নাম নেই। এই কারখানার মালিক দিনের পর দিন শ্রমিকদের বেতন নিয়ে গড়িমসি করছে। বেতন চাইলে ভয়ভীতি দেখায়, বাইরের লোকজন দিয়ে মারধর করে। এভাবে আর কত দিন অত্যাচার সহ্য করব জানি না।’
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্স) সেলিম বাদশা বলেন, ‘আজকে মালিকপক্ষের বেতন পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু তা করতে না পারায় শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেছে। আগামীকাল বেতন দেওয়া হবে জানিয়েছে মালিকপক্ষ। সড়কে যান চলাচল বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।’
Discussion about this post