নারায়ণগঞ্জ শহরের আমলাপাড়ায় মসজিদের জমি দখলের পায়তারা করছে রায়হান ও রোহান চক্র। তাতে বাঁধা দেওয়ায় শাহজাহান ভূইয়া, তার আত্নীয় রনি,ইমরান ও রওশন আরাকে মারধর করে গুরুতর জখমের ঘটনা ঘটে।
মসজিদের জমি নিয়ে এমন লংকাকান্ডের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ টি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
আমি মোঃ শাহজাহান ভূঁইয়া (৬৬), এন.আই.ডি- ৩৭৩৯০৫১২৪৫, পিতা- মৃত তমিজ উদ্দিন ভূইয়া, মাতা- মৃত খোদেজা বেগম, সাং- ২৩/১, কে.দি নাগ রোড, আমলাপাড়া, থানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ খানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। জিনাত জহুরা মুক্তা (৪০), স্বামী- মৃত আব্দুল লতিফ, ২। আবু রায়হান (২৫), ৩। রোহান (২২), উভয় পিতা- আব্দুর রহিম, ৪। হাঁরা (৪০), পিতা- খোরশেদ আলম, সর্ব সাং- ২৩/২, কে.সি নাগ রোড, আমলাপাড়া, খানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জগণের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, গত ইং ২১/১২/১৯৯৯ তারিখে আমার মাতা মৃত খোদেজা বেগম মৃত্যুর পূর্বে বেজিস্ট্রিকৃত ওয়াকফা এর মাধ্যমে ১৪নং কে.সি নাগ রোড আমলাপাড়াস্থ হোল্ডিংয়ে ০৪(চার) শতাংশ সম্পত্তি আমলাপাড়া বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদের নামে ওয়াকফা করিয়া দেন।
কিন্তু উক্ত সম্পত্তি আমার ভাই মৃত আব্দুল লতিফ এর স্ত্রী ২নং বিবাদী জিনাত জহুরা মুক্তা সহ বর্ণিত বিবাদীগণ জোরপূর্বক দখল করার পায়তারায় লিপ্ত হইয়া একটি ভুয়া ও জাল স্ট্যাম্প তৈরী করিয়া বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন দীর্ঘদিন উক্ত মামলা চলমান থাকার পর গত ইং ১২/০২/২০২৪ তারিখ মহামান্য হাইকোর্ট সিভিল রিভিশন মামলা নং- ৩১১২/২০০৬ প্রেক্ষিতে মসজিদের পক্ষে আদেশ প্রদান করেন। উক্ত আদেশের রায় পাইয়া আমি আমলাপাড়া বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী সহ স্থানীয় লোকজন দোয়া ও মোনাজাত করিয়া আল্লাহ’র দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করায় ১নং বিবাদী জানতে পারিয়া আমাকে ও আশে পাশের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ নানা ধরনের ভয়-ভীতি হুমকি প্রদান করিতে থাকে।
আমরা অদ্য ইং ১৩/০২/২০২৪ তারিখ দুপুর অনুমান ০৩:০০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন ১৪নং কে.সি নাগ রোড সাকিনস্থ মসজিদের নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হইয়া মসজিদের নামীয় একটি ব্যানার স্থাপন করারকালীন বর্ণিত ১নং বিবাদীর নির্দেশে ২.৩ ও ৪নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল বেআইনী জনতাবদ্ধ হইয়া দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠি সোটায় সজ্জিত অবস্থায় অতর্কিত ভাবে আমাদের উপর হামলা করে এবং আমাকে সহ সঙ্গীয় ১। গাজী ইফতেকার উদ্দিন রনি (৪৫), পিতা- মৃত গাজী মোঃ আলাউদ্দিন, ২। সায়মন (৪০), পিতা- মুক্তিযোদ্ধা সফিক আহম্মেদ, ৩। ইমরান আহম্মেদ (৩২), পিতা- মৃত নুর উদ্দিন আহম্মেদ, ৪। রওশন আরা বেগম (৪৮), স্বামী- মৃত নুর উদ্দিন আহম্মেদ দের বেদরক মারধর করিতে শুরু করে। মারধরের একপর্যায়। ২নং বিবাদী গাজী ইফতেকার উদ্দিন রনি এর নাকে ঘুসি দিয়া নাকের ভিতরে হাড় ফাটা ও রক্তাক্ত জখম করে, ৩নং বিবাদীর হাতে থাকা কাটের দাসা দ্বারা বারি দিয়া রওশন আরা বেগম এর বাম হাতে সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলা ফুলা জখম করে। আমাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজনদের আগাইয়া আসিতে দেখিয়া বিবাদীগণ আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে খাকে এবং ২ ও ৩নং বিবাদী এই মর্মে হুমকি প্রদান করেন যে, ভবিষ্যতে উক্ত সম্পত্তি সংক্রান্তে আমি কোন প্রকার বারাবারি করিলে আমাকে প্রাণে মারিয়া ফেলিবে বলিয়া হুমকি দিয়া বিবাদীগণ চলিয়া গেলে আশে পাশের লোকজনের সহায়তায় আহতদের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
বিবাদীগণ খুব খারাপ প্রকৃতির লোক, তারা মসজিদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল সহ উক্ত সম্পত্তি আত্মসাত করার পায়তারায় লিপ্ত। বিবাদীগণ যেকোন সময় আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারেন। উক্ত বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পরিচিতজনদের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
এ ব্যাপারে শাহজাহান ভূইয়া উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Discussion about this post