নগরীতে যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠা লাখো অটো রিকশায় ব্যবহৃত ব্যাটারী নির্মান, বিপণন ও বিক্রয় করতে কোন অনুমুতি না নিয়েই চলছে অসংখ্য ব্যাটারীর দোকান ও কারখানা। এমন অনমোদনহীন কারখানায় কোন তদারকী না থাকলেও সংশিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা নিয়মিত মাসোয়ারা গ্রহণ করে এমন অটো রিক্সা ও ব্যাটারীর দোকান, কারখানা ও শোরুম চলছে কোন বিধি বিধান না মেনেই ।
আর এমন অবৈধ শোরুম, কারখানা ও দোকান চলছে প্রশাসনের নাকের ডগায় । আর আইনশৃংখলা বাহিনীর এমন উৎকোচ গ্রহণ ও বিধি না মেনে এমন দাহ্য পদার্থ (এসিড) দিয়ে তৈরী করা ব্যাটারী ও অটো রিকশার গ্যারেজের কারখানায় ঘটে নানা দূর্ঘটনা । এমনই এক ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটেছে নাারয়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কাশিপুর ভোলাইল মুসকান টাওয়ারের মুসকান মটরস নামক অবৈধ ব্যাটারীর দোকানে।
দাহ্য পদার্থের বিস্ফোরণের কারণে এই ব্যাটারী দোকানে শনিবার সকাল সাড়ে নয় (৯) টায় ঘনবসতি অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ভোলাইল বাজার এলাকা কেপে উঠে । বিস্ফোরণের আগুনের কুন্ডলী মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরলে অনেকেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। এদের মধ্য থেকে নাসিমা (৫০), আবুল হোসেন (৭৫), মিনু (৫০)৷ আশক আলী (২৩), আলী আকবর (৩৪), টিটু (২৭), কাউসার (২০), হাসান (৩০), রানা (৩৫), শাহেদা (,৫০), সাগর (২৮), আ. রাজ্জাক (৪৫), রবিউল (২৩), তাহের দেওয়ান (৫০) ও শাহানাজ (৩৮), মোর্শেদা বেগম (৫৪) কে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হলে চিকিৎসক গোলাম মোস্তাফা ইমন সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর ৬ জনেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করেন।
এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মুসকান টাওয়ারের মুসকান মটরসের পুরো নীচতলা উড়ে যায় । একই সাথে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে আশেপাশের বাড়ি ঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এমন বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক দল এবং ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এই ঘটনার মূল কারণ উদঘাটনে কাজ করছেন।
বিস্তারিত আসছে ………
Discussion about this post