‘বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে’ আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের শান্তি সমাবেশ চলছে তুমুল বৃষ্টির মধ্যেই।’
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন মাইকে এসে বলেন, “ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমাদের লাখো ছাত্রজনতা এই সমাবেশে থাকবে, যতই বৃষ্টি আসুক, যতই ঝড় আসুক না কেন, আমরা সমাবেশের বাইরে যাব না।”
শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের এ কর্মসূচি শুরুর আধা ঘণ্টার মাথায় শুরু হয় বৃষ্টি।
অনেকে আশপাশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করলেও নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ কাকভেজা হয়েই সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসছেন অনেকে।
বিকাল পৌনে ৩টার দিকে হাজারখানেক নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। বৃষ্টি শুরু হলে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে বৃষ্টিতে ভিজেই স্লোগান দিতে দেখা যায় আওয়ামী লীগের এই নেতাকে।
গত কিছুদিনে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জের এই এমপিকে দেখা যায়নি। শুক্রবারের এ সমাবেশ ঢাকা বিভাগীয় কর্মসূচি হওয়ায় তিনি তাতে যোগ দিয়েছেন বলে কর্মীরা জানান।
ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলা থেকেও কর্মীদের নিয়ে এই সমাবেশে এসেছেন ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, “ঝড় আসবে, যতই বাধা আসুক ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা থাকবে।”
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, “আপনানা বঙ্গবন্ধুর সাচ্চা সৈনিক, জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আপনাদের শুভেচ্ছাও অভিনন্দন।”
এর আগে ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেতো বঙ্গবন্ধু মরে নাই’- গান গেয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই শান্তি সমাবেশ শুরু হয়। এরপর পাঠ করা হয় প্রয়াত কবি সামসুল হকের ‘আমি এসেছি’ কবিতাটি।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সমাবেশের সঞ্চালনা করছেন- যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম সমাবেশের বিশেষ অতিথি।
এদিকে দেড় কিলোমিটার দূরে নয়া পলটনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশে মিলিত হয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।
নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে আলোচিত এই সমাবেশ দুটি করতে পুলিশ দুই পক্ষকেই ২৩টি শর্ত বেঁধে দিয়েছে।
Discussion about this post