মাদকের জোয়ারে ভাসছে পুরো নারায়ণগঞ্জ । কোথায় নেই মাদক। মসজিদ কিংবা মন্দির অথবা গির্জা বা প্যাগোডার সামনে পিছনে অথাবা চারিপাশেই মাদকের ভয়াবহতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে । নারায়ণগঞ্জের আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নানা দূর্বলতা ও পেশাদারিত্ব না থাকায় প্রতিনিয়ত্ঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদক অবাধ ব্যবহার । নগরীর কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীরা যাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মাদক মামলা রয়েছে সেই অপরাধীরা “পুলিশের হর্ণ” ব্যবহার করে মটর সাইকেলে “প্রেস” ষ্টিকার সাঁটিয়ে দিব্বি পুলিশের নাকের ডগায় মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বিরামহীনভাবে।
এমন অসংখ্য অপরাধের পর এবার সিদ্ধিরগঞ্জে বাবুল মিয়া ও রফিকুল ইসলাম রনি ওরফে গাঞ্জা রনি নামে বাবা ছেলের বিরুদ্ধে গাঁজা চাষ ও ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চিটাগাংরোডস্থ আফির উদ্দিন সুপার মার্কেটের সুগন্ধা হাসপাতালের ছয় তলা ভবনের ছাদে একটি গোপন রুম তৈরি করে সেখানে রং এর বালতিতে অভিনব পদ্ধতিতে গাঁজা চাষ করছে তারা।
এতে সবসময় আতঙ্কে থাকে সেই মার্কেটের হাসপাতালের কর্মচারী, বসবাস করা পরিবার ও মার্কেটের দোকানদাররা। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে বা পুলিশকে জানাবে বললে তাকে মারধর ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এতে ভয়ে ও আতঙ্কে রয়েছে তারা।
সূত্র মতে জানা যায়, বাবা বাবুল মিয়া ও ছেলে রনি গাঁজা চাষকরে তা প্রক্রিয়াজাত করে আশে পাশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে। এছাড়া তারা মার্কেটের আশেপাশে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে বলেও জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে রনিকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি জানান, এখানে কোন গাঁজা গাছ নাই। আমরা ফুলের ব্যবসা করি। তাই গাঁদা ফুল গাছ লাগিয়েছি। কেউ আপনাকে ভুল তথ্য দিয়েছে। আমরা এই ধরণের কোন কাজে যুক্ত নেই।
বিষয়টি জানাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফকে ফোন করলে তিনি বলেন, আমরা সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে। মাদকের বিষয়ে আমরা কাউকে ছাড় দিবো না। ঠিকানা নিয়ে আমরা এখনই অভিযান চালিয়ে সেই গাছ ধ্বংস করছি।
এমন ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জের অনেকেই বলেন, “আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী বিচিত্র এক নগরীতে বসবাস করছি। কোথাও যেন কোন সভতা নাই ! আইন নাই ! বিচার নাই ! যে যা খুশি তাই করছে । সিদ্ধিরগঞ্জসহ পুরো নারায়ণগঞ্জে কি হচ্ছে তার সব খবর শীর্ষ কর্তারা জানলেও সকলেই যেন রোবট হয়ে গেছেন। চুরি, বাটপারি, চিটারী, লুটপাটসহ সকল ধরেনের অপরাধ প্রকাশ্যেই ঘটছে এই নগরীতে। যেন সকল কর্তাদের চোখে কাঠের চশমা পরা !”
Discussion about this post