প্রতারনা চলছে সর্বত্র ই । এমন কোন শাখা প্রশাখা নাই যেখানে প্রতারনা স্পর্শ লাগে নই । মানুষের আস্থার স্থল মসজিদ, মন্দির, কবর শ্মশানের নাম ব্যবহার করে প্রতারনার খবরও প্রায়ই শোনা যায় । এরপরেও আইনশৃংখলা বাহিনী থেমে নাই প্রতারনা ঠেকাতে। প্রতারকদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত তথ্য পেয়ে যাচাই বাছাই শেষে আটক বা সাজা দেয়ার ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশের পরও টনক নঢ়েনা প্রতারকদের । সর্বত্রই যেন চলছে প্রতারণা । এ যেন প্রতারনার হাট বাজার। আর এই হাট বাজারে আবার একজন প্রতারকের সাজা দিয়েছে আদালত।
সোনারগাঁয়ে ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির দায়ে জানে আলম (৪০) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে এক বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২৯ মে) বিকেলে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের ধন্দিবাজারের এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইব্রাহিম অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
দণ্ডিত জানে আলম উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইব্রাহিম জানান, ভুয়া চিকিৎসক জানে আলম বন্দর উপজেলায় তার চাচার ফার্মেসিতে সহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন। পরে নিজের এলাকায় গিয়ে নিজেকে ‘মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ’ বলে প্রচার করেন এবং রোগী দেখা শুরু করেন। এছাড়া চিকিৎসার বিভিন্ন ভুয়া উপাধি ব্যবহার করতেন তিনি। বৈধ কাগজপত্রাদি দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২১ মে (রোববার ) দুপুর নারায়ণগঞ্জ শহরের ৪নং ডিআইটি মার্কেটে সুপার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ অভিযান চালিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কনসালটেন্ট সনলোজিস্ট (এমবিবিএস) ডাক্তার মোস্তফা মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুশরাত আরা খানম আইন অনুযায়ী বিনাশ্রম এক বছরের কারাদণ্ড এবং সুপার ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এর আগেও অসংখ্য অভিযানে এমন প্রতারকদের সাজা দেয়ার পরও টনক নঢ়ে নাই কোন প্রতারকদের।
Discussion about this post