নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধারের পর চিকিৎসকের ভাষ্যসহ নানা পারিপার্শ্বিকতায় এটি নির্মম হত্যাকান্ড বলে উল্লেখ করে সরকারী পর্যায় থেকে হত্যাকান্ড হিসেবে ব্কতব্যের পর ব্যাপক প্রচার পেলেও পরবর্তীতে এমন চাঞ্চল্যকর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে ডিবি পুলিশ। যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে সর্বত্র
বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার বাদী বাবা নুর উদ্দিন রানার নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে সিআইডিকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। আগামী ২৪ মে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ঠিক করেন বিচারক।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন। সেই আবেদনের ওপর ই মামলার বাদী নারাজির আবেদন করেন।
বুয়েট ছাত্র ফারদিন ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। বর্তমানে হত্যা মামলাটির তদন্ত করছে ডিবি। পাশাপাশি র্যাব আরও কয়েকটি সংস্থা ছায়া-তদন্ত করছে।
ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের তিনদিনের মাথায় তার বাবা কাজী নুরউদ্দিন ১০ নভেম্বর তার বন্ধু আমাতুল্লাহ বুশরার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা ও মামলা করেন। পরিকল্পিতভাবে লাশ গোপন করার অভিযোগ এনে রামপুরা থানায় মামলাটি করা হয়।
ওইদিনই বুশরাকে গ্রেপ্তার করে রামপুরা থানা পুলিশ। তাকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে পুলিশ আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেয়। মামলাটির তদন্তভার ডিবির কাছে যাওয়ায় রিমান্ডে বুশরাকে জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্বও পায় গোয়েন্দা পুলিশ।
তবে বুশরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সঙ্গে তার কোনো যোগসাজশ পাননি গোয়েন্দারা। তদন্তে ফারদিনের সঙ্গে বুশরার নিছক পরিচয় ও বন্ধুত্বের তথ্য পাওয়া গেছে।
বর্তমানে বুশরা স্থায়ী জামিনে আছেন।
Discussion about this post