নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর, সিদ্ধিরগঞ্জ, শহরের মন্ডলপাড়াসহ নগরীর কিছু মোবাইলের দোকানে একবারেই প্রকাশ্যে চোরাই মোবাইলের হাট বাজার নিয়ে পসরা বসিয়ে চোরাই কারবার করে যাচ্ছে একদল চোরইকারবারী ও ছিনতাইকারীরা।
আইনশৃংখলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এমন কারবার চালিয়ে আসলেও জেলার কোন আইনশৃংখলা বাহিনী এমন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না । অভিযোগ রয়েছে এই হাট বাজার থেকে প্রতি মাসে থানার ওসি, হাইওয়ের ওসি, ডিবির ওসিদের কে মাসোয়ারা দিয়েই এই কারবার করে যাচ্ছে চোরাই কারবারীরা।
আর এই চোরাই মোবাইল কারবারীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কয়েক শত ছিনতাইকারী, থাপ্পা পাটি, ঠেক পাটি নামধারী অপরাধীরা।
প্রকাশ্যেই প্রতিটি বাস ষ্টপেজ ও বস্তি এলাকায় এই ছিনতাইকারীরা বুক ফুলিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অপরাধ কার্যক্রম।
এতো অপরাধের পরও জেলা আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্তারা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বলেন, “নারায়ণগঞ্জের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি আগের চাইতে ভালো !“
বিটিআরসির অনুমোদনহীন অবৈধ মোবাইল ফোন মজুত, সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয় ও প্রদর্শন করার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সংস্থাটি বলছে, গ্রেফতারকৃতরা মোবাইল চোরাকারবারি চক্রের সদস্য। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ অবৈধভাবে বিটিআরসির অনুমোদন বিহীন মোবাইল সেট সংগ্রহ করে নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় মজুত, সরবরাহ, ক্রয় বিক্রয় ও প্রদর্শন করে আসছিল।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আজ শুক্রবার র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন, মো. তাইজুল ইসলাম (২৩), মো. ইয়াসিন (২১), মো. জাকির (২৭), মো. মামুন (৩৩), মো. আসিফ (২৫), মো. ফারুক হোসাইন (৪০) ও শাহ্পরান শুভ (২৫)।
এসময় তাদের কাছ থেকে বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন ১৪৭টি মোবাইল সেট ও ৮৫টি মোবাইল চার্জার জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
Discussion about this post