শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচলরত ৬টি নৌযানকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার (১৩ মার্চ) জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (আইসিটি শাখা, সাধারণ শাখা, ব্যবসা বাণিজ্য শাখা) ফারাশিদ বিন এনাম এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানটি পরিচালিত হয়।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নৌ নিট্রা বিভাগের উপ পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য জানান, সোমবার (১৩ মার্চ) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর আলোকে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
মোট সাতটি নৌযান পরিদর্শনে ছয়টি নৌযানের বিরুদ্ধে জরিমানা বাবদ এক লাখ আশি হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং একটি নৌযানে কোন ত্রুটি পাওয়া না গেলে সেটিকে ছেড়ে দেয়া হয় ।
এমন ঘটনাকে আইওয়াশ বলে মন্তব্য করেছেন জরিমানা প্রদানকারী নৌযানের কর্মচরাীরা। জরিমানা প্রদানের পর ছেড়ে দেয়া হলে কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শীতলক্ষা নদী হচ্ছে অপরাধের সাম্রাজ্য । হাজার হাজার নৌযান চলাচল করে নদীতে। মাত্র ৬ টি নৌযানে অভিযান করে জরিমানা করা হলো কেন ? আর সকলেই কি সাধু ? অন্যান্যদের আটক করে না কেন ? আর আজকে শীতলক্ষা নদীতে এতো কম নৌযান কেন ?
অর্থ্যাৎ প্রায় সকল নৌযান থেকে মাসোযারা আদায় করে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের অসাধু একটি চক্র।
আগে থেকেই এই আইওয়াশ হবে বলে যাদের কাছে থেকে মাসোয়ারা আদায় করে তাদেরকে সতর্ক করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ চিহ্নিত ওই চক্র । তারা বিশাল বিশাল কাজ করছে কোন ধরণের অপরাধ চাঁদাবাজি করছে তা এমনটি প্রচার করতেও বিশেষ পেশার লোকজনদের ডেকে এনে প্রচারের ব্যবস্থাও করছে । অপরদিকে বিজ্ঞ বিচারক মহোদয় কে নাানভাবে বিভ্রান্ত করে তার কাঁধে বন্দুক রেখে ফায়দা লুটপাটের পায়তারা করছে বিআইডব্লিউটিএ এর অসাদু চক্র টি । যারা ইতিমধ্যেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। শীতলক্ষা নদীতে দিনে রাতে সমানতালে এতো অপরাধ সংগঠিত হয় তাতে কি করে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের কর্তারা ? নৌযানের বৈধতা যাচাই করার আগে বিজ্ঞ বিচারকের প্রতি অনুরোধ রইলো যারা এই বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয় পরিচালনা করেন তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যাচাই করার অনুরোধ রইলো।
Discussion about this post