গেলো ২৬ ডিসেম্বর (সোমবার) ভোরে উপজেলার গোপালদী বাজার মেথর পট্রি থেকে গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ৩০ কেজি চোলাই মদসহ ২ শীর্ষ দুই মদ ব্যবসায়ী মতিলালের ছেলে চন্দন বাসফোর (৩৮) ও তার ভাই নিরাঞ্চন বাসফোর (৩৫)গ্রেফতার করে । এমন গ্রেফতারের পরও প্রকাশ্যেই আড়াইহাজার উপজেলায় পুলিমেল চোখ ফাঁকি দিয়ে যত্রতত্র বিক্রি হতো নারায়ণগঞ্জের টানবাজার থেকে পাচার করা সেন এন্ড কোম্পানীর ভেজাল (নিজেদের গোডাউনে তৈরী) চোলাই মদ ।
শুধু আড়াইহাজার ই নয় জেলার রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর এলাকার একাধিক স্পটে বস্তাভর্তি করে পাচার হচ্ছে এই সেন এর তৈরী চোলাই মদ। আর সদর থানা প্রচীরের সর্বোচ্চ ১০ গজের মধ্যেই পুলিশ ম্যানেজ করেই প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে এই চোলাই মদ। এছাড়াও সারা দিন যেমন তেমন মধ্য রাত পর্যন্ত একেবারেই প্রকাশ্যে শীতলক্ষা নদীর তীরে টানবাজার ফাঁড়ির গেইটের সামেনে বসেই চোলাই মদের আড্ডা । যার চিত্র প্রতিনিয়তঃ সর্বসাধারণের চোখে পরলেও পুলিশ যেন এক্ষেত্রে একেবারেই অন্ধ।
আর আড়াইহাজারে সেই সেন এন্ড কোম্পানীর চোলাই মদসহ আটকের মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই এমন চোলাই মদ খেয়ে মৃত্যু হলো বিল্লাল হোসেনের।
জেলাজুড়ে এমন চোলাই মদ বিক্রির ঘটনায় সর্বত্র চলছে ব্যাপক সমালোচনা। অনেকেই বলেছেন এই চোলাই মদ বিক্রি করতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মোটা অংকের মাসোয়ারা দিয়েই জেলার সর্বত্র পাচার হচ্ছে এই চোলাই মদ । যা খেয়ে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে ।
জানা যায়, আড়াইহাজারে চোলাই মদ পানের পর বিষক্রিয়ায় বিল্লাল হোসেন (৩৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিল্লাল হোসেন উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের দয়াকান্দা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বিল্লাল তার নিজ এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে মদ পান করেন। এক পর্যায়ে তিনি বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
কিন্তু বিল্লালের স্বজনরা তাকে ঢাকায় না নিয়ে বাড়িতে চলে যান। পরে শনিবার দুপুরে তার অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় তাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এর আগেই সে মারা যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, মদ পানের পর বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা তাদেরকে বলেছিলাম ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, বিল্লাল হোসেন নামে একজন মারা গেছেন। তার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন মদপানে তার মৃত্যু হয়েছে।
Discussion about this post