বন্দরে গ্যাস সংকটে মাটির চুলার চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে গৃহিনীরা মাটির চুলায় রান্না করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভ্যানগাড়ি দিয়ে ফেরী করে বিক্রি হচ্ছে মাটির চুলা। প্রতি চুলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মদনগঞ্জ এলাকায় মাটির চুলা বিক্রির করে হকার । এমন ঘটনা প্রতিদিনের ।
আবাসিক, শিল্প, বিদ্যুৎ সব শ্রেণীর গ্রাহকদের গ্যাস সংকট নিত্যদিনের ঘটনা। বর্তমান সময়ে যতটুকু গ্যাস আসছে তা দিয়ে মানুষের প্রয়োজনীয় কাজ মিটছে না। দিনে গ্যাসের চাপ কম ভোর রাতেও টিমটিম করে জ্বলে। পাইপ লাইনের গ্যাস গ্রাহকদের পাশাপাশি যারা সিলিন্ডার ব্যবহার করেন তাদেরও ভোগান্তির অন্ত নাই। গ্যাস সংকটে যেন জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়ছে। এরমধ্যে গ্যাস না থাকলের গ্রাহকদেও প্রতি চুলা প্রতি অধিক গ্যাসের বিল গুনতে হচ্ছে তাদের। সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না দৈনিক তিনবেলা হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে। তাই সাধারন মানুষ গ্যাস সংকটে থাকার কারনে মাটির চুলার প্রতি নির্ভও হয়ে পড়ছে।
মদনগঞ্জ এলাকার গৃহিনী শিল্পী বেগম জানান, সকালের নাস্তা তৈরি হয়নি বাসায় কারণ গ্যাস ছিল না। দুপুরের রান্না করতে হয়েছে মাটির চুলায়। গ্যাস আসেনা সারাদিন রাতেও গতি খুবই কম। ফলে প্রতিদিন পরিবারের সবাই কষ্ট করতে হয়। বন্দর এলাকায় গ্যাস সঙ্কট সবচেয়ে বেশি। তাই মাটির চুলার উপর নির্ভর করতে হয়।
Discussion about this post