বন্দরে রাতের আধারে চোরাই ফার্নিস তেল বিক্রির করার সময় সিফাত প্রধান (২৮) নামে এক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েরন্দা পুলিশ ডিবি ।
অভিযান কালে ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে সাদ্দাম, শফিকুল ও আশ্রাফসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৬/৭ জন চোরাকারবারি।
ওই সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি গ্রেপ্তারকৃত চোরাকারবারি সিফাত প্রধানের দখল থেকে ফার্নিস তেল ভর্তি ২টি স্ট্রিলের লম্বা নৌকা জব্দ করে।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত ভোর ৫টায় বন্দর থানার মদনগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে চোরাই তেলসহ ওই চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত চোরাকারবারি সিফাত প্রধান বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া এলাকার শরীফ আলী মিয়ার ছেলে। চোরাই তেল উদ্ধারের ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশর উপ-পরিদর্শক ফরিদ আহাম্মেদ বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত চোরাকারবারি সিফাত প্রধানসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং- ৪১৩/১০৯ পেনাল কোড-১৮৬০।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (৩ ডিসেম্বর) জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফরিদ আহাম্মেদসহ সঙ্গীয় র্ফোস বন্দর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে গত রোববার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন বন্দরে মদনগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় একদল চোরাকারবারি ফার্নিস তেল দুইটি স্ট্রিলের নৌকা যোগে পরিবহন করে ক্রয় বিক্রিয় করে আসছে। উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় চোরাকারবারি দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেলেও সিফাত প্রধান নামে এক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে তার দেখানো মতে লঞ্চঘাট থেকে দুইটি স্ট্রিলের নৌকা মধ্যে রক্ষিত আনুমানিক ৩ হাজার লিটার ফার্নিস তেল জব্দ করে।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করে সোমবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে।
Discussion about this post