নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাঢ়া এলাকায় সুগন্ধা বেকারির সামনের ফুটপাত। ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে চা বিক্রি মনির মনাদের। সম্প্রতি তাদের উচ্ছেদের জন্য কয়েক দফায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। নেয়া মুচলেখা। তবে আশপাশে অসংখ্য দোকানপাট থাকলেও সেখানে দেখা মিলছে না অভিযান কারীদের। প্রশাসনের দাবি চাষাঢ়ায় যানজট সৃষ্টি করে মনা মনির।
প্রশ্ন উঠেছে, পুরো বঙ্গবন্ধু সড়ক যেখানে হকারদের দখলে সেখানে শুধু মনা মনিরদের উচ্ছেদ কেন ? ফুটপাত পরিস্কার করলে পুরো সড়ক পস্কিবার করা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মনা মনিরের দোকানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। নিয়ে যায় তাদের টংক দোকানটি। এ সময় আশেপাশের দোকানিরা পালালেও কিছু ক্ষনের মধ্যে আবার ফিরে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ম্যাজিস্ট্রট যখন টংয়ের গাড়িতে তুলে বলেন তখন কয়েকজন গিয়ে টংকটি ভ্যানে তুলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ টংয়ের ভেতর থেকে দুধের কউট্টা, ক্যাশে থাকা টাকা, সিগারেটের প্যাকেজ নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘দোকান নিল ম্যাজিস্ট্রেট তাহলে লুট করলো এরা কারা ?’
চা দোকানি মনা বলেন, দোকানের ভেতরে ৪ কাটুর সিগারের, ২৬ টি দুধের কউট্টা ও ক্যাশে নগদ টাকা ছিলো। খানপুর এসিল্যান্ড অফিসে টংকটি নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তালা দেয়ার সময় ভেতরে অনেক কিছুই ছিলো না। চা বিক্রি করে তাদের তিনটি পরিবার চলে বলে জানায় মনা।
মনার বড় ভাই মনির বলেন, চাষাড়ার সলিমুল্লাহ সড়কের মোড়ে সুগন্ধা বেকারীর সামনে ফুটপাতে আমাদের দোকান ১৯৮৮ সালের আগে থেকে। আগে বাবা করতো এখন আমরা। অল্প জায়গায় আমাদের এই দোকান। এখানে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, পুলিশ প্রশানের লোকজন থেকে শুরু করে সব শ্রেনীর মানুষ আসে চা খেতে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রও আমাদের দোকানের বিষয়ে জানেন। গত ১ মাসে ধরে আমাদের দোকানে ম্যাজিস্ট্রটরা এসেছে অনেক বার। দুইবার মুচলেখা নিয়েছে আমরা আর চা বিক্রি করতে পারবো না। যদি চা বিক্রি করা অপরাধ হয় তাহলে আমরা অপরাধী। তাদের ভয়ে আমরা ভয়ে সন্ধ্যারপর চা বিক্রি করি।
মনিরের দাবি, আশপাশের অনেক দোকান থাকলেও শুধু তাদের দোকান উঠাচ্ছে ম্যাজিস্ট্রট।
মনা মনিরদের চেনে এমন কয়েকজন জানিয়েছে, কয়েকদিন সুগন্ধা বেকারি ও লার্জ ফার্মার মালিকদের সাথে মিটিং হয় জেলা প্রশাসনের। শুধু মনা মনিরদের উঠালে ফুটপাত পরিস্কার হবে বিষয়টি এমন নয়। সব হকারদের উচ্ছেদ করলে নগরবাসীর শান্তি। এক মনা মনিরের দোকানে বার বার অভিযান করে কি বুঝাতে চান প্রশাসন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট রোকসানা খাইরুন নেছা বলেন, মোবাইল কোর্টে শুধু মাত্র একটি দোকান জব্দ করা হয়েছে। তারা চাষাড়া এলাকার যানজট সৃষ্টি করে এ কারনে অভিযান হয়েছে।
শুধু মাত্র ওই একাধিকবার অভিযান কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে মুচলেখা দিয়েছে এবার তাহলে শাস্তি বাড়িয়ে দেয়া হবে।
বিষয়টি জানানো হলো নারায়গঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী বাইন হীরা জানান, যেহেতুর মোবাইল কোর্ট অভিযান করেছে সেহেতু তাদের সাথে আলাপ না করে বিস্তারিত বলা যাবে না।
Discussion about this post