তিতাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যতবার তিতাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান চালানো হয় ততবারই অভিযানের আগেই মুঠোফোন যোগাযোগ করে নিয়ে আনা হয় নির্দিষ্ট কয়েকজন বিশেষ পেশার লোকজনকে । সাথে অবশ্যই ক্যামেরা । কারণ কি এই ক্যামেরার ? এরপর শুরু হয় মাটি খোড়াখুড়ির কাজ । মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করা হয় বিশাল বিশাল মোটা মোটা তিতাসের পাইপ । এমন ঘটনার দৃশ্য ধারণের পর মুঠোফোনেই ডেকে আনা হয় স্থানীয় শীর্ষ কর্মকর্তাদের । এরপর আবার ব্রিফিং। ব্রিফিং শেষে ওই নির্দিষ্ট কয়েকজন ক্যামেরাপারসনকে নগদ ৫০০/ ১০০০ টাকা প্রকাশ্যে দেয়ার পর ফের কারো কারো বিকাশ নাম্বারে পাঠিয়ে দেয়া হয় ৩০০০ টাকা করে ।
এভাবেই দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান রয়েছে তিতাসের অভিযান নামক নাটক। যা আজ বুধবার ৯ নভেম্বর মঞ্চায়ন হয়েছে রূপগঞ্জের আধুরিয়া এলাকায় ।
এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন খোদ তিতাসের একজন কর্মকর্তা । তিনি আরো বলেন, এই সংযোগ কারা দিয়েছে ? তার স্বচ্ছ তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলেই সকল অবৈধ সংযোগকারীরা নিজেরাই বিছিন্ন করবে তাদের অবৈধ সংযোগ। তখন আর এই নাটক মঞ্চায়ন করে ঢাকডোল পিটিয়ে জানান দেয়ার প্রয়োজন হবে না এমন প্রচারের।
রূপগঞ্জে অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এসময় ১ টি পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ৫’শ অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন তারা।
তিতাসের সোনারগাঁও আঞ্চলিক বিপনন বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী রিফাত আব্দু্ল্ল্যাহ তার মন্তব্যে বলে, গত কয়েক বছরে রূপগঞ্জে গ্যাস লুটপাতের মহোৎসব চালিয়েছে একটি প্রভাবশালি মহল অর্ধ লক্ষাধিক অবৈধ সংযোগ দিয়েছে। সেসব সংযোগ চিহ্নিত করে তা বিচ্ছিন্নে টানা অভিযান করছেন তারা। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার আধুরিয়া এলাকায় উচ্চ চাপ সম্পন্ন গ্যাস পাইপ থেকে নেয়া ৫’শ অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
Discussion about this post