“কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না !“ এমন প্রবাদের প্রমাণ করলেন বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহাবুবুর রহমান বাবুল । এই বছর ই এই বাবুল খোদ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্য করার জের ধরে সাময়িক বরখাস্ত হলেও তিনি আর সংশোধন হন নাই । সম্প্রতি সোনারগাঁ থানার ওসির এক ভিডিও প্রকাশ পায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ।
এই ভিডিওতে দেখা যায় সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলছেন, “আমি কোন গ্যাস চোর, বিদ্যুৎ চোর, চাঁদাবাজসহ অপরাধীদের ধরতে পারি না। কারণ আমাকে এভাবেই হুকুম করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা । এই উপজেলার সব চেয়ারম্যানরাই চোর । তারা বাটপার।
এবার (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের এমন বক্তব্যের সত্যতা মিলেছে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহাবুবুর রহমান বাবুলের ঘৃন্য কর্মকান্ডে । যা হতবাক করেছে সকলকে । চলছে সর্বত্র বিতর্ক
সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহাবুবুর রহমান বাবুল নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এর ডিওলেটার নকল করে শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়ে বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি হয়েছেন।
এ ব্যাপারে বারদী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্বাচিত দাতা সদস্য মোঃ সাঈদ সরকার বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ সোনারগাঁ আদালতে ৮ নভেম্বর দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯০০ সালে বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠা হয়। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১২জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে। পরে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড নীতি মালা ২০০৯ এর ২৩(১) বিধি অনুসারে প্রিজাইডিং অফিসার সকল প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন। প্রিজাইডিং অফিসার বাদী মোঃ সাইদ সরকারকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
বারদী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মোস্তফা জহিরুল হক, জসিউর রহমান, মোঃ ফারুক সরকার নাম সহ নির্বাচনী ফলাফল বোর্ডে প্রেরন করেন এদের মধ্য থেকে একজনকে সভাপতি মনোনীত করার জন্য।
মাহবুবুর রহমান বাবুল সোনারগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার ডিও লেটার নকল করে বোর্ডে প্রেরণ করে নিজে সভাপতি হন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা মুঠোফোনে গণমাধ্যম কে জানান, অধ্যক্ষ যে তিনজনের নাম বোর্ডে প্রেরণ করেছে সে বিষয়ে অবগত আছি । কিন্তু বাবুল আমার ডিও লেটার ও স্বাক্ষর জাল করে বোর্ডে পাঠিয়েছে বলে শুনেছি । আমি স্কুলের কোন ডিও লেটারে স্বাক্ষর করিনি।
মোঃ সাঈদ সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মোঃ জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, সহকারী ছিলেন আবু রায়হান।
বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহাবুবুর রহমান বাবুল এর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার পিএস পরিচয় দিয়ে রিসিভ করে বলেন স্যার একটু কাজে ব্যস্ত আমি তার কাছে ফোনটি দিচ্ছি বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
Discussion about this post