‘নিখোঁজ’ এর পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন নূর পরশের (২৪) মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ফারদিনের শরীর ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রাথমিকভাবে একে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর তার বন্ধু ও বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।
নারায়ণগঞ্জে সদর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডাঃ এস কে ফরহাদ বলেন, ‘ফারদিনের মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত আরও জানতে পারব।’
রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের ছাত্র ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
ফারদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম সম্পাদকও ছিলেন তিনি। ফারদিন পরিবারের সঙ্গে ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সব সিসিটিভি ফুটেজ এখনও আমাদের সংগ্রহ করা হয়নি। ফারদিনের বাবার জিডির পর পুলিশের সব ইউনিট তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলাম। তবে আমরা তাকে জীবিত উদ্ধার করতে পারিনি। আমরা জনসন রোডের লোকেশন পেয়েছি। সর্বশেষ ফারদিনের লোকেশন ছিল কেরানীগঞ্জে। নিহতের পরিবার এখনও মামলা করেনি। তারা কোথায় মামলা করবে সেটা এখনও নিশ্চিত নই।
Discussion about this post