নারায়ণগঞ্জে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন আদালতের অনুমতি ছাড়াই অসংখ্য গাড়ি বিক্রি ঘটনায় তোলপড়ের সৃষ্টি হওয়ার পর ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে একের পর এক নাটক মঞ্চায়ন করে যাচ্ছে নবীর হোসেন ও তার নিয়ন্ত্রিত কয়েকজন অপরাধী।
গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমানের নাম ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর হাইওয়ের ওসি নবীর হোসেন ৪০ থেকে ৫০টি অটো রিক্সা, সিএনজি ৫ টা, নসীমন ৫ টা, কভার্ডভ্যান ২টা, ট্রাক ২টা, বাস ২ টা এবং প্রাইভেট কার ১ টা গাড়ি কেটে বিক্রি করার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের পর খোদ হাইওয়ে পুলিশের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, “ভাই আপনার নিউজ করেন আর আমাদের কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের সকলকেই সন্দেহের চোখে দেখেন ওসি নবীর হোসেন। আর এতোগুলি গড়ি বিক্রি করলো তার খবর এসপি ও এএসপিসহ উর্ধতন কর্মকর্তাগণ জেনে ফেলায় এই দূর্গন্ধ দূর করতে কিছু সুইপার ভাড়া করে এনে তা পরিস্কার করা চেষ্টা চালাচ্ছেন ওসি।
সুইপার দিয়ে ওসি নবীর হোসেন যতই ময়লা পরিস্কার করুক না কেন ময়লার দূর্গন্ধ কি আর দূর করা যাবে ? শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢেকে রাখা যায় না ঠিক তেমনি হাজারো সুইপার দিয়ে সুগন্ধি মাখলেও ময়লার দূর্গন্ধ দূরা করা যাবে না। অর্থাৎ ওসি নবীর হোসেনের পক্ষে যতই গুণকীর্তন করা হউক না কেন চুরি করে গাড়ি বিক্রি করার ঘটনা কি মুছে ফেরা যাবে ? কাঁচপুরে সুণাম রক্ষা করে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিমের রেখে যাওয়া মালখানার রেজিস্টার দেখলেই বেড়িয়ে আসবে আসলে প্রকৃত ঘটনা কি ? কতগুলি গাড়ি বিক্রি করেছে এই নবীর হোসেন। তার স্বচ্ছ তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে থলের বিড়াল।”
১১ মিনিট ৪ সেকেন্ডের আলোচনায় নবীর হোসেন ভবেরচর থাকাবস্থায় কি কি অপকর্ম করেছেন তার বিশাল ফিরিস্তিও তুলে ধরেন এই কর্মকর্তা ।
এই কর্মকর্তা তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে আরো বলেন, কুকর্মের ফিরিস্তি প্রমাণসহ তুলে ধরলেই পুলিশের অনেক বড় বড় কর্তারাই মুখ লুকাতে পারবেন না। আর আমার নাম প্রকাশ হলে চাকরীর ক্ষেত্রে নবীর হোসেনের হাত দিয়ে উচ্ছিষ্টগ্রহণকারী অনেক কর্তারাই আমার সার্ভিস বুকে লাল কালিতে মন্তব্য করে ক্ষতি করে দিবেন।
এখন শুধু কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের মালখানার রেজিস্টার স্বচ্ছতার সাথে যাচাই করার দাবী করেছে অনেকেই।
Discussion about this post