নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি সাধারণ সদস্য পদে দুই প্রার্থী সমান ভোট পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, তাদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচিত করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য পদে দুজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় তিনটি সাধারণ সদস্য এবং দুটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পাঁচটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে।
নির্বাচন কার্যালয় থেকে পাওয়া বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, ১ নম্বর ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর আলম ও মজিবুর রহমান ১৫টি করে ভোট পেয়েছেন। অপর দুই প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন ও সায়েম রেজা পেয়েছেন যথাক্রমে ৩ ও ১ ভোট।
এই ওয়ার্ডে ৩৭টি ভোটের মধ্যে ৩৫টি ভোট পড়ে। বাতিল হয় একটি। এই কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর ভোট দেননি।
দুই প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় এই ওয়ার্ডে মঙ্গলবার লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচিত করা হবে বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার।
দুই নম্বর ওয়ার্ডে ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাসুম আহম্মেদ। এই ওয়ার্ডে অপর প্রার্থী আমিরউল্লাহ রতন ২, জাহাঙ্গীর হোসেন ৫৮ ও রাসেল শিকদার দুটি ভোট পেয়েছেন। তবে মোস্তফা চৌধুরী ও মোবারক হোসেন নামে দুই প্রার্থী কোনো ভোটই পাননি। এই ওয়ার্ডে মোট ১৬২টি ভোটের মধ্যে তিনটি বাতিল হয়।
তিন নম্বর ওয়ার্ডে ৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আবু নাঈম ইকবাল। অপর প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ৪৯ ভোট পেয়েছেন। এই ওয়ার্ডে ১৩২টি ভোটের সবগুলোই বৈধ ছিল।
চার ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে যথাক্রমে মো. আলাউদ্দিন ও আনছার আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এদিকে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের এক নম্বর ওয়ার্ডে ১২৬ ভোট পেয়ে সাদিয়া আফরিন নির্বাচিত হয়েছেন। অপর দুই প্রার্থী আছিয়া খানম সুমি ও নাছরিন আক্তার যথাক্রমে ১৯ ও ৪৮ ভোট পান। এই ওয়ার্ডে ১৯৪টি ভোট পড়ে। বাতিল হয় একটি।
দুই নম্বর ওয়ার্ডে ২০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সীমা রানী পাল। এই ওয়ার্ডে অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে অ্যাডভোকেট নূরজাহান ২৮, শাহিদা মোশারফ ১৭২ ভোট পান। আরেক প্রার্থী হাওয়া বেগম কোনো ভোট পাননি। মোট ৪০৬ ভোটের মধ্যে একটিও বাতিল হয়নি।
Discussion about this post