বন্দর আলআমিন জামে মসজিদে মোজাম্মেলকে সভাপতি ও লুৎফরকে সাধারন সম্পাদক করে মনগড়া কমিটি গঠন করায় এক পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই মসজিদ কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল ও লুৎফর রহমান গোপনে তাদের গুটি কয়েক নিজস্ব সদস্যদের একত্রিত করে মসজিদের ভিতরে সাধারন সম্পাদক শাহজাহান রানাসহ সাধারন সদস্যদের অগোচরে এ কমিটি গঠন করেন।
পরে কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, বন্দর ২২নং ওয়ার্ডস্থ আল আমিন জামে মসজিদে গত ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে ৩ বছর মেয়াদী কমিটি গঠন হয়। পরে গত ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর পরই কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল সাধারন সম্পাদক শাহজাহানকে কোন কিছু না জানিয়ে গত নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী লুৎফরকে নিয়ে গোপনে তাদের মনগড়া কমিটি বানাতে ষড়যন্ত্র করে বেরাচ্ছে। মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক শাহজাহান ও যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ অনেক সদস্যদের না জানিয়ে তারা রাতের আধারে কমিটির খসরা তৈরী করে।
পরে গত শুক্রবার জুম্মার পর মসজিদের ভিতরে সাধারন সম্পাদক শাহজাহানসহ কমিটির অনেক সদস্যদের মতামত না নিয়ে একটা মনগড়া কমিটি ঘোষনা দেয়। এতে অনেকে দ্বীমত প্রকাশ করে। পরে কমিটির সাধারন সম্পাদক শাহজাহান রানা ও যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান গ্রুপের লোকজনের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে আল আমিন মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক শাহজাহান রানা বলেন, আল আমিন মসজিদ কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল গঠনতন্ত্র বর্হিভূত কাজ করেছে। কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। ২৮দিন আগে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। আমি সাধারন সম্পাদক অথচ আমার সাথে কোনদিন কোন ব্যাপাওে শেয়ার করে নাই। সে তার মনমত মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত দিত।
আমি মসজিদের সেক্রেটারী অথচ আমাকে মাইক ধরতে দেয়া হত না। মসজিদের নির্বাচনে আমার সাথে হেরেছে এমন একজন লোক মসজিদেও মাইক পায় কিভাবে। সভাপতি গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে এতদিন মনগড়া কাজ করেছে। আর মসজিদ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। মসজিদের সাধারন সম্পাদক জানেনা অথচ তারা তাদেও খেয়াল খুশি মত কমিটি কওে ফেলল। এমন মনগড়া কমিটিকে আমি থিক্কার জানাই। অচিরেই এই পকেট কমিটির বিরুদ্ধে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আমরা একটি স্বারকলিপি দিব।
Discussion about this post