বিএনপি সারাদেশে গণ্ডগোলের পরিকল্পনা করে নানা কর্মসূচি সাজিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির কর্মসূচিতে সহিংসতা হচ্ছে। আজ নারায়ণগঞ্জে একজন মারা গেছেন – এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সারাদেশে গণ্ডগোল করার পরিকল্পনা করে নানা কর্মসূচি সাজিয়েছে। সেই কারণে সারাদেশে তারা পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করছে। পথচারীদের ওপর হামলা করছে। মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা পরিচালনা করছে। অর্থাৎ ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে যে কাজগুলো করেছিল, সেটির নতুন সংস্করণ তারা শুরু করেছে দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমি নারায়ণগঞ্জে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে পুলিশ, জেলা প্রশাসন কিংবা সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া বিএনপি সেখানে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করেছিল। পুলিশ তাদের রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ না করে দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করার জন্য বলেছিল। সেটি তারা না শুনে রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে সেখানে টিআর গ্যাস ছুঁড়েছে এবং লাঠিচার্জ করেছে। এভাবেই সেখানে ভ্যান্ডালিজম (ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম) করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।’
‘যে ছেলেটি মারা গেছে, সে সেখানকার একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাতিজা। নিহত ব্যক্তি বিএনপির কর্মী, না পথচারী সেটি এখনও তদন্তাধীন। আমি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।’
মানুষ তো মারা গেলো- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই মানুষ মারা গেছে। আপনারা জানেন বিএনপি তো মানুষ মারার রাজনীতিটাই করে। তারা ২০১৪ ও ২০১৫ সালে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) গণ্ডগোল করে সারাদেশে আরও লাশ সৃষ্টি করতে চায়। বিএনপি পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা তৈরি করার অপচেষ্টা হিসেবে এ ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপির লোকজন বেশি ছিলেন- এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব তো তারেক রহমানকে শিশু মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন। আর খালেদা জিয়া হচ্ছেন প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা। যিনি তারেক রহমানকে শিশু মুক্তিযোদ্ধা বলেন কিংবা কারও মায়ের পেটে থাকলে তাকে কখনো উনি আবার…মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় তার মাকে অনেক দৌড়াতে হয়েছে, এজন্য সেও মুক্তিযোদ্ধা- যদি এ কথা বলে বসেন। যে এই ধরনের অবান্তর কথা বলেন, সে এই ধরনের অবান্তর কথাও বলতে পারেন।’
‘বাস্তব সত্য হচ্ছে- জিয়াউর রহমার মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে কাজ করেছেন।’
Discussion about this post