নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে নিহত রাজিয়া সুলতানা কাকলীর মা খন্দকার তাছলিমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে আড়াইহাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মা ও ছেলে দু’জনেই নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে । কী ভাবে তাদের খুন করা হয়েছে তা-ও স্পষ্ট। কিন্তু খুনের কারণ কী? ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরেও এই প্রশ্নের উত্তর হাতড়াচ্ছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস আই) নুরে আলম জানান, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে আসল রহস্য ও আসামি আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, আড়াইহাজার উপজেলার উজান গোবিন্দী পশ্চিমপাড়া এলাকায় রোববার ভোরে রাজিয়া সুলতানা কাকলী ও তার আট বছরের পুত্র তালহাকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে সরেজমিনে মঙ্গলবার উজান গোপিন্দী এলাকায় গেলে দেখা গেছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। সকলের মুখে একই কথা কে করতে পারে এই ঘটনা।
এর আগে সোমবার রাতে নিহত কাকলী ও তার ছেলের লাশ পাচঁবাড়িয়া এলাকায় দাফন করা হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, হত্যাকান্ডের ধরন দেখে মনে হচ্ছে অপরাধী পূর্ব পরিচিত। সম্পদ নিয়ে বিরোধ, দেনা-পাওনা টাকা কিংবা পরকীয়া এ তিনটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের মর্গে থেকে মরদেহ স্বজনদের কাছ হস্তান্তর করা হয়েছে। সন্ধা ৭টার দিকে জানাযা শেষে দিকে পাঁচগাও নিহত কাকলী পৈত্রিক বাড়ির তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তবে পুলিশ জানায়, খুনিরা পরিচিত মুখ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দশ বছর আগে উজান গোবিন্দি পশ্চিম পাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে রাজিয়া সুলতানা কাকলীর বিয়ে হয়। পাঁচ বছর আগে হঠাৎ ভগ্নিপতি আউয়াল ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। টিনশেড বিল্ডিংয়ে ছেলে তালহাকে নিয়ে স্বামীর ভিটায় থেকে যান রাজিয়া। কাকলী তার ছেলে তালহাকে মনোহরদী কিন্ডার গার্টেনে নিজেই আনা নেয়া করতেন। চার বোন দুই ভাইয়ের মধ্যে কাকলী ছিলো তৃতীয়। ছোট বোন ফারহানা সুলতানা তিথি তাকে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে নিজের কাছে চলে আসার কথা বললেও স্বামীর ভিটা ছাড়তে তিনি রাজি হননি।
Discussion about this post