জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নে মামাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে করেছে ভাগিনা।
আজ (২১ জুন) রবিবার রাতে সনমান্দি ইউনিয়নের সমনান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভাগিনাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের মৃত হোসেন আলীর বাড়িতে মদনপুর থেকে বিকালে বেড়াতে আসেন তার মেয়ে রূপবান ও রূপবানের ছেলে হৃদয়। পরে মেয়ে রূপবান ও তার ছেলে হৃদয় মামা আবুল কাসেম (৫৫) ও কাসেমের স্ত্রী শামসুন্নাহার এর সাথে বসত বাড়ীর মালিকানা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয় এবং ভাগিনা হৃদয় গাছের কাঠাল কাটতে যায়। এসময় আবুল কাসেম বাঁধা দিলে ভাগিনা হৃদয় তার হাতে থাকা বটি দিয়ে আবুল কাসেমকে উপরিযুক্ত কোপাতে থাকে। আবুল কাসেমকে বাঁচাতে তার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।
এসময় আবুল কাসেমের স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ভাগিনা হৃদয়কে আটক করে গণপিটুনী দিয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী কাসেমকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এলাকাবাসী আরো জানান ১০ বছর পূর্বে নিহত আবুল কাসেমের মা পাশের বাড়ীর এক ব্যক্তিকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। সে মামলায় তার মার যাবজ্জীবন জেল হয়। কয়েক বছর আগে তাদের বসত বাড়ি বিক্রি করে তার মাকে জেল থেকে মুক্ত করে আনেন। এরপর তারা ওই এলাকায় পরিবারের সবাই মিলে ৫ শতাংশ জমি কিনেন। আজ সন্ধ্যায় রূপবান সে জমির মালিকানা বুঝিতে দিতে ভাই কাসেম আলীকে বলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ভাগিনা হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে কাসেমকে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) শরিফ মিয়া জানান, আবুল কাসেমকে হত্যার ঘটনায় তার ভাগিনা হৃদয়কে আটক করা হয়েছে। কাসেমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
Discussion about this post