সোনারগাঁ প্রতিনিধি :
সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া এলাকায় গৃহকর্মীকে মোবাইল ফোনে বাসায় ডেকে এনে গণধর্ষণ করেছে ছার যুবক। গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহকর্মী মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার গৃহকর্মী জানান, দীর্ঘদিন যাবত সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ীয়া গ্রামের হাবিবুরের বাড়ীতে ভাড়া থেকে বিভিন্ন লোকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। কাজের সুবিধার্থে সে বর্তমানে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে গৃহকর্মীর কাজ করেন। হাবিবুরের বাসায় ভাড়া থাকা অবস্থায় হাবিবুর ও ওই গৃহকর্মীর কিছু আর্থিক লেনদেন হয়। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হাবিবুর তার সহযোগী স্বপন ও শাহিনুরকে দিয়ে গৃহকর্মীকে ফোন করে হাবিবুরের বাসায় আসতে বলে। ওই গৃহকর্মী হাবিবুরের বাসায় আসলে তাকে জোরপূর্বক চারজন মিলে গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই গৃহকর্মী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে তিন জনের নাম উল্লেখ করে ও একজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সোনারগাঁও থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- সোনারগাঁও উপজেলার বাগবাড়িয়া এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে হাবিবুর, একই এলাকার আজিজুল মিয়ার ছেলে স্বপন এবং নওগাঁ জেলার শিকারপুর গ্রামের মোতাহার প্রামাণিকের ছেলে শাহীনূর ইসলাম।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হলে তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ আহসান উল্লাহ অভিযান চালিয়ে জামপুর ইউনিয়নের তালতলা বাগবাড়িয়া গ্রামের মৃত সুবহান মিয়ার ছেলে হাবিবুর ও নওগাঁ জেলার শিকারপুর গ্রামের মোতাহার প্রমাণিকের ছেলে শাহীনুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
সোনারগাঁওয়ের তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আহসান উল্লাহ জানান, মামলা দায়েরের পর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়ে। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ, চলতি মাসের ৭ তারিখ একই এলাকায় এক গার্মেন্টসকর্মীকে সিএনজি অটোরিকশা করে তুলে এনে রাতভর গণধর্ষণ করে ছয় যুবক। ওই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পাঁচ ধর্ষক দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছে।
Discussion about this post