গেলো সোমবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় শীর্ষ মাদক সম্রাট সালাউদ্দিন বিটু কে গ্রেফতারের নাটকের পান্ডুলিপি তৈরি করে পুলিশের এক কর্মকর্তা ও বিটুর শেল্টারদাতা এক প্রভাবশালী। (যিনি সংসদ সদস্যের নিকটাত্মীয় হিসেবে পরিচিত দেয়।)
থানার ভিডিও ফুটেজে রয়েছে সেই তদ্বিরকারীর দৌড়ঝাঁপ ।
বুধবার ৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় শহরের নলুয়াপাড়া থেকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের দারোগা শাহাদাতের মাধ্যমে শীর্ষ মাদক সম্রাট সালাউদ্দিন বিটুকে গ্রেফতার নাটক সম্পন্ন করে।
বাকী কাজ শহরবাসীর চোখে ধুলো দেয়া । সেই মোতাবেক বুধবার মধ্যরাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় হত্যা, মাদকসহ মোট ৫টি মামলার আসামী এবং সদর থানা পুলিশের উপর হামলাকারী বিটুর বিরুদ্ধে কোন ওয়ারেন্ট না থাকায় পুলিশ আইনের ৫৪ ধারায় পাঠানো হচ্ছে আদালতে।
বৃহস্পতিবার ৫ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১ টায় সদর থানা পুলিশ শীর্ষ মাদক সম্রাট সালাউদ্দিন বিটুকে আদালতে পাঠানোর পূর্বেই আইনজীবী প্রস্তুত থাকায় দুপুরের মধ্যেই জামিনের আবেদন করেন।
শীর্ষ মাদক সম্রাট সালাউদ্দিন বিটুর জামিন শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালত জামিন মঞ্জুর করেন ।
এমন গ্রেফতার নাটক মঞ্চায়ন ও জামিনের বিষয়ে আদালত চত্তরে অনেকেই বলেন, এই বিটু গ্রেফতার করে পুলিশ পিটিয়ে রক্তাক্ত করার কারনে ক্রসফায়ারে নেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলো বিগত সময়ের পুলিশের কর্তারা। আর এখন সেই বিটু এক দিনের মধ্যেই মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াবে মাদকের ডিলার হিসেবে ।
শীর্ষ মাদক সম্রাট সালাউদ্দিন বিটুকে গ্রেফতার ও ৫৪ আদালতে পাঠানোর বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দারোগা মাহাদান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, “এখন হলো কলির কাল, বাঘে চাটে বিড়ালের গাল ।” বলে মন্তব্য করেন ।
Discussion about this post