বিএনপি – জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে পুলিশে চাকুরী নিয়ে পিএসআই পদে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় কাজে যোগ দেয় রাসেদ মোবারক। তৎকালীন সময় সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরীর উকিল মেয়ার জামাতা রূপগঞ্জ উপজেলার বিএনপি নেতা মোজাম্মেল চেয়ারম্যানের ভাগিনা পরিচয় দিয়ে জেলার সর্বত্র চষে বেড়াতো রাশেদ মোবারক । নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় চাকরি করলেও ফতুল্লা থানায় মাদক বিরোধী অভিযান চালানোর ঘটনায় বদলী হয় দারোগা রাশেদের।
দীর্ঘদিন পর সেই রাসেদ মোবারক গেলো বছর আলোচিত সমালোচিত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালনকালে জেলার যে কোন থানা অথবা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার ইচ্ছে নিয়ে জেলায় যোগ দিয়ে দৌড়ঝাঁপ চালায় ব্যাপক তদ্বিরের সাথে। কখনো এসপি হারুন আবার নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমানের কাছে ধর্ণাও দেয় বিশেষ পেশার এক ঘনিষ্ঠ জনের মাধ্যমে ।
কোন ভালো পোস্টিং না পেয়ে গেলো বছর ২০ ফেব্রুয়ারী সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের (চাষাড়াস্থ হীরা মহলে) প্রয়াত পিতা এ কে এম সামছুজ্জোহার মৃত্যু বার্ষিকীর মিলাদ মাহফিলে যোগ দিয়ে মোনাজাতের ছবি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করে সাংসদ ভ্রাতৃদ্বয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় পুলিশের ওসি রাশেদ । বিশেষ পেশার তদ্বিরকারী ব্যক্তি প্রয়োজনে কয়েক লাখ টাকায় রাশেদ মোবারককে ভালো পোস্টিং করাতে না পারায় অন্যত্র বদলী হয়ে চলে যায় ।
পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের সাথে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকায় রাশেদ মোবারক আর নারায়ণগঞ্জের কোন থানা অথবা ডিবিতে পূর্ণাঙ্গভাবে দায়িত্ব না পেয়ে অন্যত্র বদলী হয়ে চলে যান ।
এক সময়ের সেই পিএসআই রাশেদ মোবারক দেশের সর্বাধিক পরিচিত সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ আওয়ামীলীগের নেতাদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে নারায়ণগঞ্জসহ সর্বত্র।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় সিলেটের ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেই রাশেদ মোবারক দম্ভোক্তি করে বলেছেন, “নারায়নগঞ্জের এমপি শামিম ওসমানেরও টাইম ছিলোনা আমার হাতে। বানিয়াচং থাকাকালীন আব্দুল মজিদ খাঁন এমপিকেও তো পাত্তাই দেইনি। আর এখানের কোনো নেতা তো আমার চোখেই পড়েনা। এগো টাইম নেই আমার কাছে। কথা না শুনলে রশি বেঁধে একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে নিয়ে আসবো’।”
পুলিশ কর্মকর্তা রাশেদ মোবারকের এমন বক্তব্য প্রকাশিত হলে বাংলাদেশ যুবলীগের সভাপতি ‘শেখ ফজলে’ নামক ফেসবুক পেইজে ওসি রাশেদ মোবারকের এমন ঘটনায় মন্তব্য করে বলেছেন (যা হুবহু নিচে দেয়া হলো)
নারায়নগঞ্জের এমপি শামিম ওসমানেরও টাইম ছিলোনা আমার হাতে। বানিয়াচং থাকাকালীন আব্দুল মজিদ খাঁন এমপিকেও তো পাত্তাই দেইনি। আর এখানের কোনো নেতা তো আমার চোখেই পড়েনা। এগো টাইম নেই আমার কাছে। কথা না শুনলে রশি বেঁধে একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে নিয়ে আসবো’।
—————————————————————
ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর ইউ,পি আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব দবির মিয়া এবং ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল ভাইকে দড়ি দিয়ে বেধে টেনে নিয়ে যাবো ওসি সাহেবের এমন ন্যাক্কারজনক কথার প্রতিবাদে আমি কিছু বলতে চাই…
মিষ্টার ওসি আপনি পাকিস্তান থেকে আমদানি কি?তা নাহলে শুধু যবলীগ নেতা নয় দেশের একজন শীর্ষ স্তানীয় নেতা, সংসদ সদস্যকে নিয়ে এতবড় কথা বলার সাহস হল কিভাবে! সংসদ আপনাকে আইনের রক্ষক বানিয়েছে গুণ্ডামি করতে বলেনি।
যুবলীগ নেতাদের নিয়ে আপনার এমন কটুক্তির প্রতিবাদে একজন যুবলীগ কর্মী হিসেবে বলতে চাই আমরা আমাদের অভিভাবকদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি তা নাহলে পাকিস্তান থেকে আমদানি কৃত এমন কটুক্তি কারীকে রসি দিয়ে বেধে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া হত।
ওসি রাশেদ মোবারকের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ সমালোচনা পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রাশেদ মোবারক বিরোধী হাজারো কমেন্টসে ঝড় চলছে। অনেকেই বলেছেন বিএনপি জামায়াত সরকারের শাসনামলে পুলিশে চাকরি নেয়া এই রাশেদ মোবারকের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন করা হউক । আসলেই তিনি প্রজাতন্ত্রের চাকরি করতে এসেছেন নাকি বিএনপি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ।
Discussion about this post