“একটা একটা রাজাকার ধর, একটা একটা দালাল ধর”- এমন শ্রোগান নিয়ে এখনো সরগরম রয়েছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি । দীর্ঘ ছুটি শেষে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন দৈনিকে এমন সংবাদ প্রকাশিত হলে আওয়ামীলীগের অনেক নেতা এবং খোদ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান দিপু,, আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক পিপি আসাদুজ্জামানসহ অনেকেই বোস কেবিনের আড্ডায় কঠোর সমালোচনা করে বলেন, কে রাজাকার আর কারা রাজকার পরিবারের পৃষ্টপোষকতা করছে তার প্রমাণ তো এই শহরবাসী খুব ভালো করে জানে
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী ও শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগষ্ট সকাল থেকেই মুখরিত নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়। একে একে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সংগঠন। বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত ছিল আওয়ামী লীগ কর্মীরা । তবে একটি স্লোগানে হঠাৎ সকলের মধ্যে উত্তেজনার তৈরি হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নগরীর দুই নম্বর রেল গেইট সংলগ্ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় একত্রিত হতে থাকে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা।
এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘হাই, বাদল এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে। নারায়ণগঞ্জের মাটি শামীম ভাইয়ের ঘাঁটি। একটা একটা দালাল ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’। শেষের স্লোগানটি দেওয়ার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির।
আব্দুল কাদির বলেন, ‘এইসব কেমন স্লোগান? এগুলো কাকে বলা হচ্ছে? দালাল কে? কার গলা কাটবে? আমিও আওয়ামী লীগ করেছি। ছাত্রলীগ, যুবলীগ করে এখানে এসেছি। মুখে মুখে নেতা না।’ – এমন ঘটনার খবর পুরো জেলায় ছড়িয়ে পরলে শুরু হয় নানা আলোচনা সমালোচনা ।
সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের এমন বক্তব্যে আবারো প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলী লীগের সহসভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির।
তিনি বলেন, শান্তি কমিটির নেতার ছেলে যদি মুক্তিযোদ্ধা বলতেই অন্ধ হন তাহলে এটি খুবই ভাববার বিষয়। মুক্তিযোদ্ধাদের ভালো মন্দ বুঝতে যদি শান্তি কমিটির নেতার ছেলের উপর দায়িত্ব দেয়া হয় এটি দুর্ভাগ্য ছাড়া অন্য কিছু নয়। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। সাংসদের এসব বিষয় অজনা থাকাবার কথা নয়। একে তো শোক দিবস, দ্বিতীয়ত মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান। খুবই লজ্জাজনক। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরাই জাতির পিতাকে হত্যার কলকাঠি নেড়েছিলো। ওইসব অপশক্তি নানা জনের দ্বারাই পুনর্বাসিত হয়। তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাই।
এমন ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক মুনতাসীর মামুন এর ‘শান্তি কমিটি ১৯৭১ নামক বইয়ের ২২৫নং পৃষ্ঠায় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলের বাবা গোলাম রব্বানীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে গোলাম রব্বানী মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে চাষাঢ়া ইউনিয়ন শান্তিকমিটির অন্যতম নেতা ছিলেন। তার ছেলে যদি মুক্তিযোদ্ধা বলতেই অন্ধ হন তবে আর কি আর বলার। নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। আসলে আমাদের এমপিই অন্ধ হয়ে গিয়েছেন। তাই সঠিক অনুষ্ঠানে সঠিক ব্যক্তিকে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেননি।
শনিবার সকালে শহরের বোষ কেবিনের আড্ডায় অনেক নেতারাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি টেনে অনেকেই সমালোচনা করে আরো বলেন, একটা একটা রাজাকার ধর যারা বলেন, তাদের সাথের রাজাকারদের ধরবে কে ? এই কুখ্যাত রাজাকারদের ধরার শক্তি কি হারিয়ে ফেলেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলিীগের নেতারা ? নারায়ণগঞ্জের রাজাকার ও তাদের পরিবারদের পৃষ্টপোষকতা করছে কে/কারা ? –
Discussion about this post