জাতীয় শোক দিবসে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে মোক সভায় ‘’একটা একটা দালাল ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর, একটা একটা রাজাকার ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’’ এমন শ্লোগানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করে শহরের ২নং রেল গেইটস্থ দলীয় কার্যালয়ে । যা ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে শহর জুড়ে । অন্ততঃ এমন শোকের দিনে নিজেদের মধ্যকার কোন্দল প্রকাশ না হলেই ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই ।
এনএনইউ রিপোর্ট :
স্লোগান নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবদুল কাদির এ স্লোগানের তীব্র বিরোধীতা করেন এবং কাদের উদ্দেশ্য করে এ স্লোগান দেওয়া হয়েছে সেটা জানতে চান।
১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ক্ষণিক সময়ের এ আগে ও পরেও চলে উত্তেজনা। তবে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উত্তেজনা বিরাজ কতে দেখো গেছে নেতাকর্মীদের মাঝে ।
শোক দিবস উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা। শ্রদ্ধা শেষে নেতাকর্মীরা ভেতরে আলোচনা সভায় অংশ নেন। ওই সময়ে এমপি শামীম ওসমানের পক্ষেও স্লোগান ধরা হয়। ‘নারায়ণগঞ্জের মাটি শামীম ওসমানের ঘাঁটি’ স্লোগানের সাাথে সাথেই ‘একটা একটা দালাল ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর, একটা একটা রাজাকার ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ স্লোগান দেওয়ার পর পরই আবদুল কাদির ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
এ সময় আব্দুল কাদির বলেন, `এইসব কেমন শ্লোগান। এগুলো কাকে বলা হচ্ছে। দালাল কে? কার গলা কাটবে? আমিও আওয়ামী লীগ করেছি। ছাত্রলীগ, যুবলীগ করে এখানে এসেছি। মুখে মুখে নেতা না।’
তিনি আরো বলেন, `যারা এই শ্লোগান দেয় তারা তো বঙ্গবন্ধুর কর্মী হতে পারেনা, শেখ হাসিনার কর্মী হতে পারে না।`
উত্তেজনার এক পর্যায়ে ন্যান্য নেতারা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন৷ শ্লোগান প্রদানকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করা হয়। এক পর্যায়ে তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন ।
ওই সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আবদুল কাদিরকে নিবৃত্ত করেন। তখন মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, সাধরিণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ হোসনে আরা বাবলী, বাংলাদেশ হোসিয়ারী সমিতির সভাপতি ও নাসিক কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, সিনিয়ার যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, কবির হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post