নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
বিনা লাইসেন্সে ইট ভাটা পরিচালনার ক্ষেত্রে শাস্তি বৃদ্ধি করে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধানযুক্ত করে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন আইন, ২০১৯’ বিল চূড়ান্ত করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সংসদে উত্থাপিত ও সংসদীয় কমিটি প্রেরিত বিলে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল। পরিবেশ বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদে বিলটির ওপর উপরোক্ত সংশাধিতসহ কিছু সংশোধনী এনে রিপোর্ট উপস্থাপন করে সংশোধিত আকারে বিলটি পাসের সুপারিশ করেন।
এসময় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন।
ইট ভাটায় মাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ বিশেষ করে টপ সয়েলের ব্যবস্থার বন্ধ করা, ইটের বিকল্প ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপ, ইটভাটার জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক এবং ব্লক তৈরীতে লাইসেন্সের অপ্রয়োজনীয়তা, নির্দিষ্ট এলাকায় ইট ভাটার জায়গা ও ভাটার সংখ্যা নির্ধারণ, আইন অমান্যের জন্য শাস্তি বৃদ্ধি ইত্যাদির বিধান সংযোজন করে ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে সংশোধনী এনে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন আইন, ২০১৯’ নামে একটি বিল গত ১০ ফেব্রুয়ারি সংদে উত্থাপন করা হয়।
এটিই ছিলো বর্তমান একাদশ সংসদে উত্থাপিত প্রথম বিল। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাবুদ্দিন বিলটি উত্থাপন করেন। বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য পরিবেশ বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে প্রণীত বিদ্যমান আইনের কিছু ধারায় কিছু বিধি-নিষেধ, শর্ত থাকায় আইনটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। এছাড়া, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ফসলী জমির টপ সয়েল ব্যবহার বন্ধের লক্ষে ইটের বিকল্প হিসেবে ’ব্লক’ ব্যবহার উৎসাহিত করার জন্য বিদ্যমান আইনে কতিপয় ধারা সংযোজন বিয়োজন ও সংশোধন প্রয়োজন। এজন্যই সংশোধনী আইনটি আনা হয়েছে। বিলটি পাস হলে কৃষির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় টপ সয়েল রক্ষাসহ ইটভাটাজনিত পরিবেশ দূষণ কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মন্ত্রী।
Discussion about this post