নানাভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেছে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল ! হাসপাতালের জরুরী বিভাগ, বর্হির বিভাগ, ল্যাবরেটরী, টিকিট কাউন্টার, প্রায় প্রতি চিকিৎসকের কক্ষে দালাল নিয়োগসহ নানা দূর্ণীতিতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেছে এই হাসপাতালটি । সকাল নয়টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকজন চিকিৎসক ছাড়া সকল চিকিৎসক নিম্নে ৩০ হাজার টাকার টার্গেট করে রোগিদের নানাভাবে হয়রানী করে পরীক্ষা-নীরিক্ষার নামে । আর টার্গেট পূর্ণ করতে চালিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসার নামে লুটপাট ।
জেলা সিভিল সার্জন অথবা সপাতালের আবাসিক ম্যাডিকেল অফিসার (আরএমও) দূর্ণীতিবাজ বিশাল অপরাধী চক্রের হোতাদের কাছে যেন জিম্মি হয়ে পরেছে ।
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
জেলা সদর (জেনারেল) হাসপাতালের (৩১৪ নং) তৃতীয় তলার অবস্থা যেন মাদক সেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে । রোগী কিংবা অভিভাবক কেউ ব্যবহার করতে পারেন না, টয়লেট কাম ওয়াশরুম । বিশ্রী অবস্থা। কেবল তিনতলায় নয় অন্যান্য গুলোও ব্যবহার করার মতো নয়। নোংরা ।
অথচ লাখ লাখ টাকার বাজেট থাকে পরিস্কার সরঞ্জাম কেনার জন্য। আর বিশাল অংক খরচ হয় কর্মীদের বেতন ভাতায় ।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন এবং আরএমও উদাসিনী বলে মনে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হাসপাতালে সেবা নিতে আসা অনেকেই ।
আর এমন ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবিাসিক মেডিক্যাল অফিসার ( আরএমও ) বলেছেন, পানির সমস্যা পিডব্লিডিতে ডিও দিয়েছি ।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ইমতিয়াজ আহমেদকে বিষয়টি জানানোর পর ৩১৪ নম্বর কক্ষ পরিদর্শনের পর বিষয়টি সত্য বলে জানান ।
তিনি আরো বলেন এখানে পানির সমস্যা দেখলাম না। পরিচ্ছন্ন কর্মীর অবহেলা। তার বেতন ভাতা বন্ধ করে দেবো। আমার একার পক্ষে সব কিছু দেখা সম্ভব হয় না। আপনারা সাংবাদিকরা যেখানে যে অনিয়ম অব্যবস্থাপনা দেখলে আমাকে জানাবেন। আমি সাথে সাথে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেবো ।
খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, দুপুর ২টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত জরুরী বিভাগে পালাক্রমে একজন চিকিৎসক হাসপাতালে অবস্থান করলেও পরবর্তিতে আর কাউকেই খুজে পাওয়া যায় না। সারারাত শিক্ষানবীস (ম্যাটস – সেকমো ) কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদেরকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখে প্রতিনিয়তঃ । এই সেকমো অথবা ম্যাটস এর কয়েকজন ছাড়াও হাসপাতালে বিনা বেতনে চাকুরীজীবী স্পেশাল আয়া/বয় নামধারী দালালচক্র বছরের পর বছরজুড়ে চালিয়ে যাচ্ছে অপরাধ সম্রাজ্য । হাসপাতালের দালাল চক্র এবং দায়িত্বরত কর্মকর্তারা যেন একে অপরের মাসতুতো ভাই !
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রায় প্রতিটি শাখায় অসাধু চিকিৎসক, ষ্টাফ, নার্স, জরুরী বিভাগের এমএলএসএস থেকে শুরু করে সরকারী চাকুরীজীবী সকলেই যেন এক বা একাধিক দালাল নিয়োগ করে রোগী পাচার বিভিন্ন ক্লিনিক ডায়াগণষ্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে প্রত্যেক সেবা গ্রহিতাকে পরীক্ষা করতে বাধ্য করে । যে কোন অসুস্থ্য ব্যক্তি চিকিৎসা সেবা নিতে এসেই চিকিৎসার আগেই হয়রানী হতে হয় । যা দেখার যেন কেউ নাই ।
এমন হাজারো অনিয়ম/দূর্ণীতি ও ভোগান্তির কারনে ভুক্তভোগী অসুস্থরাই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অসুস্থদের চিকিৎসার পূর্বে এই হাসপাতালের চিকিৎসা করা উচিৎ !
Discussion about this post